পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় দুমকী উপজেলা এবং সামগ্রিকভাবে পটুয়াখালী জেলাকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে দুমকী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বিকাল সোয়া তিনটায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মতিউল ইসলঅম চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপিতে এ ঘোষনা দেয়া হয়। এরআগে গতকাল রাতে দুমকী উপজেলার শুধুমাত্র দুমকী গ্রামকে লকডাউন ঘোষনা করেছিল জেলা প্রশাসক।
শুক্রবারের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান হয় যে, পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দুমকী উপজেলায় জরুরী সেবা প্রদানে নিয়োজিত যানবাহন ও পন্যবাহি গাড়ী ব্যতিত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল, আগমন ও বহির্গমন নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলো। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত, দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুমকী গ্রামের এক পোষাককর্মী জ্বর, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল দুপুরে মারা যায়। প্রথমবারের মত জেলায় তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হওয়ায় জেলা প্রশাসক দুমকী উপজেলার দুমকী গ্রাম লকডাউন ঘোষনা করেন গতকাল রাতে। মৃত ওই পোষাককর্মী নারায়নগঞ্জের একটি গার্মেন্টস এ কাজ করছিল। কয়েকদিন আগে তিনি নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ী পটুয়াখালীর দুমকীতে এসেছিল। পরে গত ৭তারিখ তার নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের কাছে পাঠানো হলে গতকাল বিকালে তার করোনা সনাক্ত হয় মর্মে রিপোর্ট এসে পৌছে পটুয়াখালীতে এরআগে দুপুরে সে মারা যায়।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম জানান, মৃত ওই পোষাককর্মীর বাড়ীসহ আশেপাশের বাড়ীঘরের মোট ২৫জনকে সনাক্ত করা হয়েছে যাদের সাথে গত কয়েকদিন ধরে ওই পোষাককর্মীর উঠাবসা হয়েছে কিংবা সংস্পর্শে এসেছে।
যেকারণে তাদের ২৫জনকে সনাক্ত করে তাদেরকে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করা হবে।
তিনি জানান, আজ সকাল থেকে এ কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া ইতিমধ্যে মৃত ওই পোষাককর্মীর বাবা, মা, স্ত্রী ছেলেসহ মোট চারজনের নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।