রাজশাহী প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে যেসব পত্রিকার অনলাইন ভার্সন রয়েছে, সেগুলো চালু থাকবে। অনলাইনে খবর পড়তে পারবেন পাঠকরা।রাজশাহী মহানগর সংবাদপত্র শ্রমিক ইউনিয়ন মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদপত্র বন্ধ রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনিয়নের প্রায় ৩২০ জন কর্মী প্রতিদিন পাঠকের বাড়ি বাড়ি পত্রিকা দিয়ে আসেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া পাঠকরাও দরজা বন্ধ রাখছেন এবং পত্রিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই সংবাদপত্র শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পত্রিকা সার্কুলেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ অবস্থায় এই সময়টি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। তাদের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে রাতে দৈনিক সোনালী সংবাদ অফিসে জরুরি সভা করেন রাজশাহী থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রসমূহের সম্পাদকবৃন্দ।
সেখানে পত্রিকাসমূহের প্রকাশনা আগামী ২৭ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে যে সকল পত্রিকার অনলাইন ভার্সন রয়েছে তা পাঠকদের জন্য চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, দৈনিক সোনার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, দৈনিক সানশাইনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইউনুস আলী, নতুন প্রভাতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সোহেল মাহবুবসহ অন্যান্য সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।