ভৈরব প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জে ভৈরবে ইতালি থেকে আসা এক ব্যক্তি আব্দুল খালেক (৬০) মারা গেছেন। তার বাড়ি পৌর শহরের জগন্নাথপুর গ্রামে। রবিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
খবর পেয়ে রাতেই উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মদের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ওই প্রবাসীর বাড়িতে যান এবং আশপাশের ১০ বাড়ি পর্যন্ত পুলিশি নজরদারিতে নেন।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে করোনাভাইরাস সন্দেহে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা থেকে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-আইইডিসিআরের প্রতিনিধিনিরা।
জানা যায়, গত ৩/৪ দিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিন্তু তিনি এর চিকিৎসা নেননি। রবিবার (২২ মার্চ) রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে তাকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মৃত ব্যক্তি ইতালি ফেরত হওয়ায় এবং তার মধ্যে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ কারণে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। পরীক্ষার পর করোনাভাইরাসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল খালেককে তার স্বজনরা করোনার উপসর্গ নিয়ে শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতাল (প্রা.) নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে যেতে বলেন। কিন্তু তার স্বজনরা তাকে সেখানে না নিয়ে শহরের কমলপুর এলাকার ডক্টরস চেম্বার নামের অপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়। সেখানে রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের হাসপাতালের ভেতরেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া মৃত ব্যক্তির বাড়ির চারপাশের বেশকিছু বাড়িঘরে মানুষের চলাচল সীমিত ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।