ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ১৪, ১৮ ও ২৪’র নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলতে হবে Logo নওগাঁর মান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক উল্টে চালক নিহত Logo বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন Logo একাদশে ভর্তি শুরু আজ,চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত Logo পাকিস্তানে বন্যার্তদের উদ্ধারকারী নৌকা উল্টে ৫জনের মৃত্যু Logo আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি : মোস্তফা Logo সুন্দরবনে অস্ত্রসহ ছোট সুমন বাহিনীর ৪ দস্যুসহ আটক ৬

১৪০০ সামরিক ড্রোন কিনেছে ইউক্রেন

এক হাজার চারশ ড্রোন কিনেছে ইউক্রেন। বেশির ভাগই নজরদারি ড্রোন। তবে কিয়েভের পরিকল্পনা, এগুলো সামরিক ড্রোনে পরিণত করা, যাতে রাশিয়ার সামরিক ড্রোনগুলো ঠেকানো যায়।

ইউক্রেন সরকারের প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

প্রায় ১০ মাস ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধকে বর্তমান ইন্টারনেটের যুগের প্রথম বড় কোনো যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী মিখাইলো ফেদোরভ। তার মতে, সামরিক ড্রোন ও স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবস্থা সংঘাতের গতি ও চিত্র বদলে দিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর গত অক্টোবর পর্যন্ত সেভাবে বিমান হামলা চালায়নি রাশিয়া। অক্টোবরের মাঝামাঝি এসে বিমান হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এ সময় বিমান হামলার পাশাপাশি শুরু হয় ড্রোন হামলাও। বিস্ফোরকবোঝাই চালকবিহীন ইরানের তৈরি এসব ড্রোনের নাম ‘কামিকাজে’।

গত ১০ অক্টোবর ইউক্রেনের রাজধানীতে প্রথমবারের মতো ইরানের তৈরি আত্মঘাতী দিয়ে ড্রোন হামলার কথা জানা যায়। এরপর ১৭ তারিখেও আকাশপথ দিয়ে একের পর এক হামলায় কেঁপে ওঠে কিয়েভ। এই ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের বহু শহরের জ্বালানি স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় পুতিন বাহিনী।

ইউক্রেনে প্রচণ্ড শীতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যাওয়ায় আপাতত এসব ড্রোন ব্যবহার করছে না। কারণ, এত কম তাপমাত্রায় ইরানের তৈরি ড্রোনগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। যেসব উপাদান দিয়ে এ ড্রোন তৈরি, হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় এর যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে যায়।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। তারা জানান, সবশেষ গত ১৭ নভেম্বর ইরানি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। এর পর আর রাশিয়া এ ড্রোন দিয়ে হামলা করেনি।

সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেনও। গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অ্যাঙ্গেলস বোমারু বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে ইউক্রেনের একটি ড্রোন। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কম উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি ড্রোন ভূপাতিত করে। বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে এসব ড্রোন সরবরাহ করেছে বলে মনে করা হয়।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনমতে, ইউক্রেন সবশেষ যে দেড় হাজারের মতো ড্রোন কিনেছে, তার মধ্যে পোল্যান্ডের তৈরি ‘ফ্লাই আই’-এর মতো নজরদারি বা গোয়েন্দা ড্রোন রয়েছে। এসব ড্রোন প্রধানত যুদ্ধের ময়দানে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে ড্রোনগুলো এখন সামরিক ড্রোনে পরিণত করা হবে এবং রুশ ড্রোন ধ্বংসে ব্যবহার করা হবে–এমন পরিকল্পনা ইউক্রেনের।

নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার

১৪০০ সামরিক ড্রোন কিনেছে ইউক্রেন

আপডেট সময় ০৬:০৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

এক হাজার চারশ ড্রোন কিনেছে ইউক্রেন। বেশির ভাগই নজরদারি ড্রোন। তবে কিয়েভের পরিকল্পনা, এগুলো সামরিক ড্রোনে পরিণত করা, যাতে রাশিয়ার সামরিক ড্রোনগুলো ঠেকানো যায়।

ইউক্রেন সরকারের প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

প্রায় ১০ মাস ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধকে বর্তমান ইন্টারনেটের যুগের প্রথম বড় কোনো যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী মিখাইলো ফেদোরভ। তার মতে, সামরিক ড্রোন ও স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবস্থা সংঘাতের গতি ও চিত্র বদলে দিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর গত অক্টোবর পর্যন্ত সেভাবে বিমান হামলা চালায়নি রাশিয়া। অক্টোবরের মাঝামাঝি এসে বিমান হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এ সময় বিমান হামলার পাশাপাশি শুরু হয় ড্রোন হামলাও। বিস্ফোরকবোঝাই চালকবিহীন ইরানের তৈরি এসব ড্রোনের নাম ‘কামিকাজে’।

গত ১০ অক্টোবর ইউক্রেনের রাজধানীতে প্রথমবারের মতো ইরানের তৈরি আত্মঘাতী দিয়ে ড্রোন হামলার কথা জানা যায়। এরপর ১৭ তারিখেও আকাশপথ দিয়ে একের পর এক হামলায় কেঁপে ওঠে কিয়েভ। এই ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের বহু শহরের জ্বালানি স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় পুতিন বাহিনী।

ইউক্রেনে প্রচণ্ড শীতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যাওয়ায় আপাতত এসব ড্রোন ব্যবহার করছে না। কারণ, এত কম তাপমাত্রায় ইরানের তৈরি ড্রোনগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। যেসব উপাদান দিয়ে এ ড্রোন তৈরি, হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় এর যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে যায়।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। তারা জানান, সবশেষ গত ১৭ নভেম্বর ইরানি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। এর পর আর রাশিয়া এ ড্রোন দিয়ে হামলা করেনি।

সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেনও। গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অ্যাঙ্গেলস বোমারু বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে ইউক্রেনের একটি ড্রোন। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কম উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি ড্রোন ভূপাতিত করে। বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে এসব ড্রোন সরবরাহ করেছে বলে মনে করা হয়।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনমতে, ইউক্রেন সবশেষ যে দেড় হাজারের মতো ড্রোন কিনেছে, তার মধ্যে পোল্যান্ডের তৈরি ‘ফ্লাই আই’-এর মতো নজরদারি বা গোয়েন্দা ড্রোন রয়েছে। এসব ড্রোন প্রধানত যুদ্ধের ময়দানে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে ড্রোনগুলো এখন সামরিক ড্রোনে পরিণত করা হবে এবং রুশ ড্রোন ধ্বংসে ব্যবহার করা হবে–এমন পরিকল্পনা ইউক্রেনের।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471