ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রায় আধা কিলোমিটারের সড়কটি বেহাল হলেও সংস্কারের জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। তাতে জমে বৃষ্টির পানি। ভাঙা অংশ এড়িয়ে এঁকেবেঁকে চলে যানবাহন। কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র আর এ খান সড়কের চিত্র এটি।

কয়েক বছর ধরে প্রায় আধা কিলোমিটারের সড়কটি বেহাল হলেও সংস্কারের জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই। ব্যস্ততম সড়কটিতে চলতে গিয়ে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ।

কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে মুজিব চত্বর থেকে ছয় রাস্তা যেতে এ সড়কের অবস্থান। শহরের সবচেয়ে বেশি চওড়া এ সড়কের দুই পাশে বহুতল একাধিক ভবন রয়েছে। রয়েছে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া কুষ্টিয়া শহরসংলগ্ন হরিপুর ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন কাজের জন্য অসংখ্য মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

কুষ্টিয়া পৌরসভা সূত্র জানায়, পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে ছয় রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪২০ মিটার। প্রস্থ ৪০–৫০ ফুট। গত বছর সড়কের দুই পাশে হাঁটাপথসহ ছয় ফুট চওড়া নালা নির্মাণ করা হয়েছে। এ দিকে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। পিচ ও পাথর উঠে ছোট–বড় গর্ত হয়ে তাতে পানি জমে থাকে। চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মূল সড়কের উভয় পাশে মজবুতকরণসহ সড়ক চওড়া করার উদ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। কার্যাদেশ পান শহরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হান্নান এন্টারপ্রাইজ। এ টাকার কার্যাদেশের মধ্যে আর এ খান সড়কসহ পাশে লরেন্স লেন নামে আরেকটি ১৩৫ মিটার সড়কের কাজও রয়েছে। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি এ কার্যাদেশ দেয় পৌরসভা। কাজ শেষ করার কথা রয়েছে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। কার্যাদেশ পাওয়ার সাড়ে সাত মাসে ঠিকাদার কাজ শুরু করেননি।

ওই সড়কে চলাচলকারী এক ইজিবাইকচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, কি বৃষ্টি কি রোদ, এ সড়কে সব সময় দুর্ভোগ। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের মাত্রা বাড়ে। যাত্রীদের কষ্টের পাশাপাশি ইজিবাইকের ক্ষতি হয়। অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়।

সড়কের পাশে থাকা কয়েকজন দোকানদার বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে একটি এক্সকাভেটর দিয়ে সড়কের ডান পাশে খনন শুরু করেন ঠিকাদার। পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে ছয় রাস্তার পর্যন্ত এ সড়কের ডান পাশে গর্ত করে রাখা হয়। তাতে বৃষ্টির পানি জমে যায়। গত শনিবার রাতেও সড়কে এক্সকাভেটর ছিল। গতকাল রোববার সকালে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল দেখা যায়, সড়কের এক পাশ কেটে গভীর গর্ত করে রাখা হয়েছে। তাতে পানি জমে আছে। সড়কও খানাখন্দে ভরা। কোনো শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়নি। নতুন করে সড়ক কাটা পড়ায় সড়কের পাশে থাকা বহুতল ভবন ও দোকানদারদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে হেলেদুলে চলছে যানবাহন। পাঁচ রাস্তার মোড়ের দিকের অংশে সড়ক কাটা পড়ায় দুটি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। বাঁশের ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে। লরেন্স লেন সড়কেও ভাঙাচোরা দেখা যায়। সেখানে কোনো কাজ এখনো শুরু হয়নি।

এ সম্পর্কে ঠিকাদার আবদুল হান্নান বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে যথাসময়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। একটু দেরি হয়ে গেছে। কাজ শুরু করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে।

কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সড়কটির অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। দেরিতে হলেও ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন। হয়তো সময় বাড়ানোর আবেদন করবেন। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

প্রায় আধা কিলোমিটারের সড়কটি বেহাল হলেও সংস্কারের জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই।

আপডেট সময় ০১:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। তাতে জমে বৃষ্টির পানি। ভাঙা অংশ এড়িয়ে এঁকেবেঁকে চলে যানবাহন। কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র আর এ খান সড়কের চিত্র এটি।

কয়েক বছর ধরে প্রায় আধা কিলোমিটারের সড়কটি বেহাল হলেও সংস্কারের জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই। ব্যস্ততম সড়কটিতে চলতে গিয়ে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ।

কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে মুজিব চত্বর থেকে ছয় রাস্তা যেতে এ সড়কের অবস্থান। শহরের সবচেয়ে বেশি চওড়া এ সড়কের দুই পাশে বহুতল একাধিক ভবন রয়েছে। রয়েছে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া কুষ্টিয়া শহরসংলগ্ন হরিপুর ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন কাজের জন্য অসংখ্য মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

কুষ্টিয়া পৌরসভা সূত্র জানায়, পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে ছয় রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪২০ মিটার। প্রস্থ ৪০–৫০ ফুট। গত বছর সড়কের দুই পাশে হাঁটাপথসহ ছয় ফুট চওড়া নালা নির্মাণ করা হয়েছে। এ দিকে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। পিচ ও পাথর উঠে ছোট–বড় গর্ত হয়ে তাতে পানি জমে থাকে। চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মূল সড়কের উভয় পাশে মজবুতকরণসহ সড়ক চওড়া করার উদ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। কার্যাদেশ পান শহরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হান্নান এন্টারপ্রাইজ। এ টাকার কার্যাদেশের মধ্যে আর এ খান সড়কসহ পাশে লরেন্স লেন নামে আরেকটি ১৩৫ মিটার সড়কের কাজও রয়েছে। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি এ কার্যাদেশ দেয় পৌরসভা। কাজ শেষ করার কথা রয়েছে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। কার্যাদেশ পাওয়ার সাড়ে সাত মাসে ঠিকাদার কাজ শুরু করেননি।

ওই সড়কে চলাচলকারী এক ইজিবাইকচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, কি বৃষ্টি কি রোদ, এ সড়কে সব সময় দুর্ভোগ। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের মাত্রা বাড়ে। যাত্রীদের কষ্টের পাশাপাশি ইজিবাইকের ক্ষতি হয়। অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়।

সড়কের পাশে থাকা কয়েকজন দোকানদার বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে একটি এক্সকাভেটর দিয়ে সড়কের ডান পাশে খনন শুরু করেন ঠিকাদার। পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে ছয় রাস্তার পর্যন্ত এ সড়কের ডান পাশে গর্ত করে রাখা হয়। তাতে বৃষ্টির পানি জমে যায়। গত শনিবার রাতেও সড়কে এক্সকাভেটর ছিল। গতকাল রোববার সকালে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল দেখা যায়, সড়কের এক পাশ কেটে গভীর গর্ত করে রাখা হয়েছে। তাতে পানি জমে আছে। সড়কও খানাখন্দে ভরা। কোনো শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়নি। নতুন করে সড়ক কাটা পড়ায় সড়কের পাশে থাকা বহুতল ভবন ও দোকানদারদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে হেলেদুলে চলছে যানবাহন। পাঁচ রাস্তার মোড়ের দিকের অংশে সড়ক কাটা পড়ায় দুটি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। বাঁশের ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে। লরেন্স লেন সড়কেও ভাঙাচোরা দেখা যায়। সেখানে কোনো কাজ এখনো শুরু হয়নি।

এ সম্পর্কে ঠিকাদার আবদুল হান্নান বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে যথাসময়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। একটু দেরি হয়ে গেছে। কাজ শুরু করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে।

কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সড়কটির অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। দেরিতে হলেও ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন। হয়তো সময় বাড়ানোর আবেদন করবেন। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471