ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের চাষ পাহাড়ের মাটিতে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া ফল চাষের জন্য উপযোগী। সারা দেশব্যাপী রয়েছে এখানকার ঊর্বর মাটিতে চাষ হওয়া কৃষিপণ্যের চাহিদা।

নতুন নতুন কৃষিজাত উদ্ভাবন যেমন সমৃদ্ধ করছে কৃষিখাতকে তেমনি পাহাড়ের মাটিতে বিদেশি ফল চাষ করে নতুন আশার আলো সঞ্চার করছে। তেমনি কৃষিতে নতুন চমক ‘সূর্যডিম’ জাতের আম। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম বলা হচ্ছে।

জাপানের এই আমটি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ধুমনি ঘাটের কাটামোড়া এলাকায় কৃষক হ্লাসিং মং এর বাগানে চাষ করেছেন। জাপানে আমটিকে ‘তাইয়ো নো তামাগো’ বলা হয়।

আবার জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে মিয়াজাকি আম বলা হয়। এছাড়া বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাংঙ্গো’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের নিজের প্রায় ৩৫ একর পাহাড়ি জায়গায় স্থানীয় কয়েক প্রজাতির আমের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ভারত থেকে সূর্যডিম জাতের ২০টি চারা আনেন।

এখন তার বাগানে ১২০টি ছোট বড় সূর্যডিম জাতের আমের গাছ রয়েছে। যার অর্ধেক গাছে ফলন এসেছে। অনেকটা লাল বর্ণের আমটিকে ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বলা হয়।

কৃষক হ্লাসিংম মারমা বলেন, শখের বসে অল্প কয়েকটি সূর্যডিম গাছের চারা সংগ্রহ করি। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারায় পরবর্তীতে চারার সংখ্যা বৃদ্ধি করি।

এখন প্রত্যেকটি গাছে ১০/১২ কেজি করে ফল হয়েছে। এখন প্রতিকেজি ৬০০ টাকা করে পাইকারী বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে এটি জাপানি আম। নাম ‘তাইয়ো নো তামাগো’। এটি জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে এই আমকে ‘মিয়াজাকি’ নামেও ডাকে।

এপ্রিলের এই আমের আকার, আকৃতি, রং, মিষ্টতা, স্বাদ নির্ণয় করে আম নির্বাচন করা হয়। এই আম ৩৫০ গ্রাম ওজনের অধিক নয়। এই আমের স্বাদ অন্য আমের চেয়ে ১৫ গুণ।

২০১৯ সালে দেশটিতে একজোড়া আম সাড়ে ৩ হাজার ডলারে বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। হ্লাসিং মং এর বাগানে দেশি-বিদেশি, প্রচলিত ও অপ্রচলিত মিলে মোট ১৭০ প্রজাতির গাছ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, দেশে প্রচলিত আমের তুলনায় এই আমের দাম অনেক বেশি।

এটি নিঃসন্দেহে ভালো খবর যে জাপানিজ এই আমটি পাহাড়ের মাটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা গেলে কৃষক লাভবান হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ট্যাগস

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের চাষ পাহাড়ের মাটিতে

আপডেট সময় ০২:০০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া ফল চাষের জন্য উপযোগী। সারা দেশব্যাপী রয়েছে এখানকার ঊর্বর মাটিতে চাষ হওয়া কৃষিপণ্যের চাহিদা।

নতুন নতুন কৃষিজাত উদ্ভাবন যেমন সমৃদ্ধ করছে কৃষিখাতকে তেমনি পাহাড়ের মাটিতে বিদেশি ফল চাষ করে নতুন আশার আলো সঞ্চার করছে। তেমনি কৃষিতে নতুন চমক ‘সূর্যডিম’ জাতের আম। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম বলা হচ্ছে।

জাপানের এই আমটি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ধুমনি ঘাটের কাটামোড়া এলাকায় কৃষক হ্লাসিং মং এর বাগানে চাষ করেছেন। জাপানে আমটিকে ‘তাইয়ো নো তামাগো’ বলা হয়।

আবার জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে মিয়াজাকি আম বলা হয়। এছাড়া বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাংঙ্গো’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের নিজের প্রায় ৩৫ একর পাহাড়ি জায়গায় স্থানীয় কয়েক প্রজাতির আমের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ভারত থেকে সূর্যডিম জাতের ২০টি চারা আনেন।

এখন তার বাগানে ১২০টি ছোট বড় সূর্যডিম জাতের আমের গাছ রয়েছে। যার অর্ধেক গাছে ফলন এসেছে। অনেকটা লাল বর্ণের আমটিকে ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বলা হয়।

কৃষক হ্লাসিংম মারমা বলেন, শখের বসে অল্প কয়েকটি সূর্যডিম গাছের চারা সংগ্রহ করি। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারায় পরবর্তীতে চারার সংখ্যা বৃদ্ধি করি।

এখন প্রত্যেকটি গাছে ১০/১২ কেজি করে ফল হয়েছে। এখন প্রতিকেজি ৬০০ টাকা করে পাইকারী বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে এটি জাপানি আম। নাম ‘তাইয়ো নো তামাগো’। এটি জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে এই আমকে ‘মিয়াজাকি’ নামেও ডাকে।

এপ্রিলের এই আমের আকার, আকৃতি, রং, মিষ্টতা, স্বাদ নির্ণয় করে আম নির্বাচন করা হয়। এই আম ৩৫০ গ্রাম ওজনের অধিক নয়। এই আমের স্বাদ অন্য আমের চেয়ে ১৫ গুণ।

২০১৯ সালে দেশটিতে একজোড়া আম সাড়ে ৩ হাজার ডলারে বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। হ্লাসিং মং এর বাগানে দেশি-বিদেশি, প্রচলিত ও অপ্রচলিত মিলে মোট ১৭০ প্রজাতির গাছ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, দেশে প্রচলিত আমের তুলনায় এই আমের দাম অনেক বেশি।

এটি নিঃসন্দেহে ভালো খবর যে জাপানিজ এই আমটি পাহাড়ের মাটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা গেলে কৃষক লাভবান হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471