ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাফনের ১৮ দিন পর কবর থেকে কলেজ শিক্ষকের মরদেহ উত্তোলন

মরদেহ

কু‌ড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ  কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ১৮ দিন পর কবর থেকে কলেজ শিক্ষক আব্দুর রশিদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে আদালতের নির্দেশে উপজেলার বালাটারী গ্রামের কবরস্থান থেকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিউকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলনের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য-

ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু বকর সিদ্দিক, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ী থানার এস. আই আবু সিদ্দিক প্রমুখ।

মামলা এজাহার সুত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক-

আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী রতনপুর নগরবন্দ গ্রামের শামছুন্নাহার পারভীন পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা ব্র্যাক মোড়ে ভাড়া থাকতেন।

গত ২৯ মে দুপুরে কলেজ শিক্ষক আব্দুর রশিদ সেখান থেকে অটোরিক্সায় ফেরার পথে বিদ্যাবাগিশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বালাটারী গ্রামে দাফন করা হয়।

গত ৯ জুন প্রথম স্ত্রী হাসনা আক্তার জোসনা স্বামীর মৃত্যুর জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে দায়ী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি মামলায় উল্লেখ করেন ঘটনার দিন তার স্বামী দুপুর আনুমানিক দেড়টায় তাকে মুঠোফোনে জানান, দ্বিতীয় স্ত্রী শামছুন্নাহার তাকে মারধর করেছে।

তিনি হয়তো আর বাঁচবেন না। তিনি জোসনা বেগমকে দ্রুত ফুলবাড়ীতে যেতে বলেন। এই বলে তিনি অটোরিক্সা ডাকতে থাকেন।

হাসনা আক্তার আরো জানান, আমি এ কথা শুনে আমার ভাগিনা আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ফুলবাড়ীর দিকে রওনা হই।

পথিমধ্যে আমার স্বামীর মুঠোফোনে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি জানায়, আপনি ফুলবাড়ী হাসপাতালে চলে আসেন। আমি সেখানে গিয়ে দেখতে পাই হাসপাতালের বিছানায় পড়ে আছে তার নিথর দেহ।

তা দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সেখান থেকে মরদেহ নাগেশ্বরীর বালাটারীতে আনা হয়।

গোসলের সময় হুজুর খোরশেদ আলম মরদেহের মাথার পেছন দিকে এবং পুরুষাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে আমার বড় ভাই শফিকুল ইসলামকে জানান।

ওইদিন রাত ৯টায় দাফন শেষে এই বিষয়টি আমার বড়ভাই আমাকেসহ উপস্থিত অনেককে জানান, যে হয়ত প্রচন্ড মারপিটে তার মৃত্যু হয়েছে।

পরে আমি চন্দ্রখানা ব্র্যাক মোড়ে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, প্রায়ই শামছুন্নাহার তাকে মারপিট করতো।

সেদিনও তাকে মারপিট করেছিল। এতে আমি নিশ্চিত হই প্রচণ্ড আঘাতের কারণে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত নবীউল ইসলাম   জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ফরেনসিক টেস্টের জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস

দাফনের ১৮ দিন পর কবর থেকে কলেজ শিক্ষকের মরদেহ উত্তোলন

আপডেট সময় ০৬:৫২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০

কু‌ড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ  কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ১৮ দিন পর কবর থেকে কলেজ শিক্ষক আব্দুর রশিদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে আদালতের নির্দেশে উপজেলার বালাটারী গ্রামের কবরস্থান থেকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিউকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলনের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য-

ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু বকর সিদ্দিক, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ী থানার এস. আই আবু সিদ্দিক প্রমুখ।

মামলা এজাহার সুত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক-

আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী রতনপুর নগরবন্দ গ্রামের শামছুন্নাহার পারভীন পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা ব্র্যাক মোড়ে ভাড়া থাকতেন।

গত ২৯ মে দুপুরে কলেজ শিক্ষক আব্দুর রশিদ সেখান থেকে অটোরিক্সায় ফেরার পথে বিদ্যাবাগিশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বালাটারী গ্রামে দাফন করা হয়।

গত ৯ জুন প্রথম স্ত্রী হাসনা আক্তার জোসনা স্বামীর মৃত্যুর জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে দায়ী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি মামলায় উল্লেখ করেন ঘটনার দিন তার স্বামী দুপুর আনুমানিক দেড়টায় তাকে মুঠোফোনে জানান, দ্বিতীয় স্ত্রী শামছুন্নাহার তাকে মারধর করেছে।

তিনি হয়তো আর বাঁচবেন না। তিনি জোসনা বেগমকে দ্রুত ফুলবাড়ীতে যেতে বলেন। এই বলে তিনি অটোরিক্সা ডাকতে থাকেন।

হাসনা আক্তার আরো জানান, আমি এ কথা শুনে আমার ভাগিনা আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ফুলবাড়ীর দিকে রওনা হই।

পথিমধ্যে আমার স্বামীর মুঠোফোনে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি জানায়, আপনি ফুলবাড়ী হাসপাতালে চলে আসেন। আমি সেখানে গিয়ে দেখতে পাই হাসপাতালের বিছানায় পড়ে আছে তার নিথর দেহ।

তা দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সেখান থেকে মরদেহ নাগেশ্বরীর বালাটারীতে আনা হয়।

গোসলের সময় হুজুর খোরশেদ আলম মরদেহের মাথার পেছন দিকে এবং পুরুষাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে আমার বড় ভাই শফিকুল ইসলামকে জানান।

ওইদিন রাত ৯টায় দাফন শেষে এই বিষয়টি আমার বড়ভাই আমাকেসহ উপস্থিত অনেককে জানান, যে হয়ত প্রচন্ড মারপিটে তার মৃত্যু হয়েছে।

পরে আমি চন্দ্রখানা ব্র্যাক মোড়ে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, প্রায়ই শামছুন্নাহার তাকে মারপিট করতো।

সেদিনও তাকে মারপিট করেছিল। এতে আমি নিশ্চিত হই প্রচণ্ড আঘাতের কারণে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত নবীউল ইসলাম   জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ফরেনসিক টেস্টের জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471