ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভৈরবে প্রবাসীর লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন, নমুনা সংগ্রহ

  ভৈরব প্রতিনিধিঃ  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেকের (৬৫) মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কর্মীরা সকালে ভৈরবে ওই প্রবাসীর বাড়িতে আসেন। তারা মৃতের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি-না তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় চলে যান।

এরপর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে সিলগালা করে দেয়। এ সময় প্রশাসনের ৪/৫ জন কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়া বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী বা গ্রামের কোনো লোকজন উপস্থিত ছিলেন না।
এ খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশেষ নিরাপত্তায় মরদেহটি দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের পৌর কবরস্হানে নেয়া হয়। সেখানে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে তার জানাজা শেষে দুপুর ১টায় দাফন করা হয়।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা, পুলিশের কয়েকজন সদস্য নিরাপত্তার জন্য কবরস্থানের কিছু দূরে উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ দাফন শেষ করে দুপুর দেড়টায় প্রশাসনের লোকজন কবরস্থান এলাকা ত্যাগ করেন।

গতকাল রোববার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেক।

তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশের বাড়িতে ফেরেন। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দেয়ায় পরিবারের সদস্যরা রোববার সন্ধ্যায় তাকে শহরের আবেদন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা রাতেই তার মরদেহ শহরের বাসায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা, সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খাঁন বাহার ওই বাড়িতে ছুটে যান এবং দুটি হাসপাতাল ও মৃতের বাড়িসহ আশপাশের ১০ বাড়িতে লোক সমাগম সীমিত করে দেন। এরপর ঘটনাটি রাতে জেলা প্রশাসনসহ ঢাকায় আইইডিসিআরকে জানানো হয়।

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

ভৈরবে প্রবাসীর লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন, নমুনা সংগ্রহ

আপডেট সময় ০৪:২০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

  ভৈরব প্রতিনিধিঃ  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেকের (৬৫) মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কর্মীরা সকালে ভৈরবে ওই প্রবাসীর বাড়িতে আসেন। তারা মৃতের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি-না তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় চলে যান।

এরপর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে সিলগালা করে দেয়। এ সময় প্রশাসনের ৪/৫ জন কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়া বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী বা গ্রামের কোনো লোকজন উপস্থিত ছিলেন না।
এ খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশেষ নিরাপত্তায় মরদেহটি দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের পৌর কবরস্হানে নেয়া হয়। সেখানে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে তার জানাজা শেষে দুপুর ১টায় দাফন করা হয়।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা, পুলিশের কয়েকজন সদস্য নিরাপত্তার জন্য কবরস্থানের কিছু দূরে উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ দাফন শেষ করে দুপুর দেড়টায় প্রশাসনের লোকজন কবরস্থান এলাকা ত্যাগ করেন।

গতকাল রোববার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেক।

তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশের বাড়িতে ফেরেন। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দেয়ায় পরিবারের সদস্যরা রোববার সন্ধ্যায় তাকে শহরের আবেদন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা রাতেই তার মরদেহ শহরের বাসায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা, সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খাঁন বাহার ওই বাড়িতে ছুটে যান এবং দুটি হাসপাতাল ও মৃতের বাড়িসহ আশপাশের ১০ বাড়িতে লোক সমাগম সীমিত করে দেন। এরপর ঘটনাটি রাতে জেলা প্রশাসনসহ ঢাকায় আইইডিসিআরকে জানানো হয়।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471