ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে গত ১ জুন থেকে। এতো দিন যাত্রীর চাপ তেমন ছিল না। তবে আজ থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আজ ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত সিডিউল বিপর্যয় নেই।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় সরেজমিন দেখা গেছে, আপনজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে অনেকে গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন। প্রতিটি ট্রেনই যাত্রীতে ঠাঁসা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ভ্রমণ সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ঈদের আগে ও পরে ৯ দিন চলাচল করবে এসব ট্রেন। এর মধ্যে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ঈদের দিন চলবে চারটি বিশেষ ট্রেন।
দুপুর ১২টায় নিয়মিত ব্রিফিয়ে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নেই। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ২৩টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। আজ সাড়া দিনে যাওয়ার কথা ৬৩টি।
তিনি বলেন, আজ বেশিরভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে।
এদিকে আজও টিকিট ছাড়া ভ্রমণকারীদের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। টিকিট না পাওয়ায় ১০ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ফাতেমা তুজ-জোহরা বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘব করে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে, যেন কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তির।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২২টি ট্রেন নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। সারা দিনে ৬৩টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাবে এবং এখন পর্যন্ত কোনও ট্রেন সিডিউল বিপর্যয় নেই।