সারা দেশে তালিকা করা হচ্ছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। থানায় থানায় নির্দেশনাও পৌঁছে গেছে। মূলত পাঁচটি বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
শুধু ছাত্রলীগ নয়, দেশে নিষিদ্ধ সব ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গতিবিধি, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর সংগঠনটির অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। তবে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আত্মগোপনে থাকা এসব নেতাকর্মী সংগঠিত হয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ কারণেই তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
থানাগুলোতে পাঠানো নির্দেশনায় ছাত্রলীগের নেতাদের পূর্ণ নাম, পরিচয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), রাজনৈতিক পরিচয়, সংগঠনে অবস্থান, অতীত ও বর্তমান কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য, এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা থাকলে সেই তথ্যও জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি কেবল ছাত্রলীগ নয়, দেশে নিষিদ্ধ অন্য সব সংগঠনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশ এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন।