ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া সদর উপজেলায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে করে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ওসি নাজমুল হক।

নিহতরা হলেন- সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়া স্ত্রী ছকিনা বেগম (৩৫) ও তার মা আনোয়ারা বেগম (৫৮)।

নিহত ছকিনা বেগমের মামাতো ভাই রবিউল ইসলাম জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর ছয় বছর আগে হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছকিনার বিয়ে হয়। এরপর ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে নিয়ে বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় ছকিনা তাকেও তালাক দেন। এরপর ছকিনা তার মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও তার সংসারে ফিরে যান। কিন্তু রুবেল তার স্বভাব পরিবর্তন না করায় ছয় মাস আগে আবারও দুজনের বিচ্ছেদ হয়।

রবিউল আরও জানান, মা-মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় ২ শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন। এক মাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে বিয়ে করেন। বাদশা মিয়া তার গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। রুবেল এ খবর জানতে পেরে ছকিনার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

ছকিনার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল বাড়িতে এসে তার মাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সঙ্গে নিয়ে আসা রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করেন। এ সময় তার নানি আনোয়ারা বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে রুবেল পালিয়ে যান।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মইনুদ্দিন জানান, ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন রুবেলকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনা এখনও মামলা হয়নি।

ট্যাগস

বগুড়ায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০৪:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

বগুড়া সদর উপজেলায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে করে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ওসি নাজমুল হক।

নিহতরা হলেন- সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়া স্ত্রী ছকিনা বেগম (৩৫) ও তার মা আনোয়ারা বেগম (৫৮)।

নিহত ছকিনা বেগমের মামাতো ভাই রবিউল ইসলাম জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর ছয় বছর আগে হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছকিনার বিয়ে হয়। এরপর ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে নিয়ে বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় ছকিনা তাকেও তালাক দেন। এরপর ছকিনা তার মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও তার সংসারে ফিরে যান। কিন্তু রুবেল তার স্বভাব পরিবর্তন না করায় ছয় মাস আগে আবারও দুজনের বিচ্ছেদ হয়।

রবিউল আরও জানান, মা-মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় ২ শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন। এক মাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে বিয়ে করেন। বাদশা মিয়া তার গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। রুবেল এ খবর জানতে পেরে ছকিনার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

ছকিনার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল বাড়িতে এসে তার মাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সঙ্গে নিয়ে আসা রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করেন। এ সময় তার নানি আনোয়ারা বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে রুবেল পালিয়ে যান।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মইনুদ্দিন জানান, ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন রুবেলকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনা এখনও মামলা হয়নি।