আবারও গণতন্ত্র ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে বিপদ আসার আশঙ্কা আছে। বিএনপির বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্র হয়। গণতন্ত্রবিরোধীরা আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার যে চেষ্টা করছে, তারা যেন সফল হতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহিলা দল আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও জাতীয় সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে একটি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছি। তাদের এই আশায় দায়িত্ব দিয়েছি যে, তারা অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবেন। নির্বাচিত সরকারই শ্রেষ্ঠ সরকার। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের দরজা, সে দরজা পার হয়েই গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে।তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবের নায়ক সাধারণ সিপাহি ও জনতা। ৭ নভেম্বরের বিপ্লব নতুন করে বাংলাদেশকে বিনির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ৭ নভেম্বরের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব না নিলে এদেশের ভাগ্যে কী হতো বলা যায় না। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিভক্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তিনি অন্ধকার থেকে দেশকে আলোতে নিয়ে আসেন।
আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর গোটা জাতিকে নির্যাতন করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের মতো দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিও ধ্বংস করেছে, ব্যাংক ধ্বংস করেছে। সব জায়গায় দুর্নীতি। তারা (আওয়ামী লীগ) আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, শেখ মুজিব ৭১ সালে পালিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য বাসায় বসে ছিলেন। সেটি আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে তার বইয়ে লিখেছেন।’
নেতাকর্মীদের সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুকে চেপে থাকা দানব সরে গেছে। বিপদ শেষ হয়নি, নতুন করে বিপদ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিএনপির ওপর সব সময় আঘাত এসেছে। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। বহু চেষ্টা করে কেউ বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। ১৭ বছর ধরে বিএনপি লড়াই-সংগ্রাম করেছে। অসংখ্য মামলা, জেল, গুমের ঘটনা ঘটেছে। সামনে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হতে হবে।’আয়োজক দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চলনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রমুখ।