ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে,পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকবো না,ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo পরীক্ষার ফি না দেওয়ায় বহিষ্কার, ছোট্ট সুরাইয়ার পাশে দাঁড়াল ইকরা সুন্নাহ ফাউন্ডেশন Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা Logo বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড Logo গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি, সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত নয়: রিজভী Logo ১৫ আগস্টের পোস্ট নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব খান Logo মেসির সঙ্গেই অবসর নিতে চান সুয়ারেজ Logo স্বামীকে তালাক দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা Logo মুখোমুখি নেতানিয়াহু–আলবানিজ; ইসরায়েল-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের উত্তেজনা Logo বান্দরবানে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তা

২২০ কোটি ডলার বিদ্যুৎ-জ্বালানি আমদানির বকেয়া

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্রুত এই দায় পরিশোধে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সাপোর্টের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল বুধবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। এ সময় জ্বালানি উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কাছে এই অনুরোধ জানান।

এ সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন, ২০২৩-এর ৩৪ক ধারায় সরকার কর্তৃক বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছে। প্রয়োজনে এ আইন দুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধন বা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এখন থেকে সব ধরনের ক্রয়প্রক্রিয়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধানবলী ব্যবহার করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন বেগবান করা হবে বলেও তিনি জানান। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাঁরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আন্তরিক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে তাঁরা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

মতবিনিময়সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে,পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকবো না,ড. মুহাম্মদ ইউনূস

২২০ কোটি ডলার বিদ্যুৎ-জ্বালানি আমদানির বকেয়া

আপডেট সময় ০১:০২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্রুত এই দায় পরিশোধে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সাপোর্টের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল বুধবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। এ সময় জ্বালানি উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কাছে এই অনুরোধ জানান।

এ সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন, ২০২৩-এর ৩৪ক ধারায় সরকার কর্তৃক বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছে। প্রয়োজনে এ আইন দুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধন বা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এখন থেকে সব ধরনের ক্রয়প্রক্রিয়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধানবলী ব্যবহার করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন বেগবান করা হবে বলেও তিনি জানান। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাঁরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আন্তরিক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে তাঁরা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

মতবিনিময়সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।