নওগাঁয় একটি পরিবার কে একাধিক মিথ্যা মামলা ও বসত বাড়ীতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে । জমি বিবাদের মিথ্যা মামলায় আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না পরিবার টি।
নওগাঁ সদর উপজেলার দুবল হাটি পল্লীর এ ঘটনার ভিকটিম শহিদুল ইসলাম মিথ্যা মামলায় ৯ দিন হাজত বাস করেছেন ।শহিদুল ইসলাম বৈধকাগজের আলোকে দাবী করেন তার কেনা সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করছে তার আপন ভাই ও ভাতিজারা ।বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার থানা সহ স্থানীদের নিয়ে দেন দরবার হয়।সেখানে তাদের বৈধতা পায় শহিদুল ।কিন্ত কাগজ থাকলেও প্রতিপক্ষের প্রভাব আর আগ্রাসী কর্মকান্ডের কারনে জমি বঝে পাচ্ছেন না ।
কাগজ পত্র বিশ্লেষনে দেখা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার দুবল হাটি বাজারে কেনা পৌনে দু শতক জমি দীর্ঘ দিন ধরে শহিদুলের দখলে রয়েছে।সম্প্রতি ওই জমিতে শহিদুল দোকান ঘর নির্মান করতে গেলে বাঁধা দেয়, আব্দুস সালাম, নাইম হোসেন, মোছা: সাথী, সবুজ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, শান্ত সহ বেশ ক জন।তারা ওই সম্পত্তির অংশীদার দাবী করে সেখানে ঘর তুলতে দিবে না হুমকি দেয়। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতেই শহিদুলের প্রতিপক্ষরা ব্যবহার করে তার আপন বৃদ্ধা মা আছিয়া খাতুন কে। প্রতিপক্ষরা এ জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকে
শহিদুলের দাবী তার কেনা সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে তার বোন অজুবা, ভাই আব্দুস সালাম কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তার মা কে ব্যবহার করছে।গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাতে অভিযুক্তরা শহিদুলের নির্মান করা ঘরে হামলা চালায় । ঘরের টিন কেটে ভেতরে ঢোকে হামলা কারীরা । তারা একটি টিভি নগদ টাকা সোনা সহ বিভিন্ন আসবাব পত্র লুট করে নিয়ে যায় । শহিদুলের ছেলে মিজানুর রহমান ঘটনার রাতে ওই ঘরে থাকায় তাকেও বেধম মারপিট করা হয় ।
মিজানুর অভিযোগ করে জানায় রাত ১২ টার দিকে ডাকাতির এ কর্মকান্ডে পরিবার কে জিম্মি করে ফেলে । রাতে পুলিশ কে ফোন দিলে দীর্ঘ সময় পর ঘটনা তদন্তে আসে । এ ব্যাপারে মিজানুর পরদিন ২৯ ফেব্রয়ারী নওগাঁ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয় মিজানুর । এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া এস এই মামুনুর রহমান জানান, আমি আগের দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদি ও বিবাদিদের কোন প্রকার হাঙ্গামা না করার নিদের্শ দেয় । কিন্ত রাতের এ ঘটনা বিবাদি পক্ষ ঠিক করেনি । তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ গুলো সটিক নয় বলে দাবী করেন ।