ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেচ বানিজ্যর কারনে পানি বিপর্যয়ে বরেন্দ্র জনপদ

কোন ধরনের জরিপ না করেই বাণিজ্যিকভাবে গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপনের প্রতিযোগিতা চলছে নওগাঁর বরেন্দ্র মাঠগুলোতে। এতে ভূ অভ্যন্তর থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলেন দ্রত নেমে যাচ্ছে পানির স্তর।

অপরিকল্পিতভাবে পানি তোলায় বরেন্দ্র জনপদে গত এক দশকে অন্তত ১৫ ফুট নিচে নেমে গেছে পানির স্তর। লাগামহীনভাবে পানি তোলা বন্ধ না হলে সামনের দিনগুলোতে  দেখা দিবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়,বলছেন পরিবেশবিদরা।

প্রতি বছর পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জমি চাষাবাদ শুরু হয়  নওগাঁর বরেন্দ্র জনপদে ।গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে এ সময় শুরু হয় মাটির তলদেশ থেকে পানি তোলা। জমি সেচের নামে  বাণিজ্যকভাবে মাঠে দেয়া হয় অগভীর নলকূপের সংযোগ। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে গভীর নলকূপের পাশেই বসানো হয়েছে  একাধিক সেচমেশিন । এসব মেশিন দিয়ে ভূ অভ্যন্তর থেকে দিনরাত পানি তোলার চলছে অসম প্রতিযোগিতা।

(প্রতি মৌসুমে ভুগর্ভের পানি কি পরিমাণ ব্যবহার করা হয় এর কোন সু নিদিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে মওসুম এলে নতুন নতুন গভীর এবং অগভীর নলকুপ স্থাপন করার ফলে মাতাতিরিক্ত পানির ব্যবহার বেড়ে যায়, ফলে বরেন্দ্র জনপদে সুদুর প্রসারী এক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা বলছেন পরিবেশবিদরা। অপরকল্পিত পানি ব্যবহারে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকায় প্রতি বছর আনুপাতিক হারে ভূ-গর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়ার সমীক্ষা তুলে ধরা হয় এক কর্মশালায়। জানানো হয় আগামী দিনের উদ্বেগের কথা ।

নওগাঁ সরকারী কলেজ ভূগোল ও পরিবে বিভাগরে, বিভাগীয় প্রধান, মো: মিজানুর রহমান বলেন. আমরা আগামী দিনে জন্য এখনোই চিন্তা করে এগুনো দরকার । নওগাঁ জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশল মো: মাহমুদুল আলম শাহীন বলেন প্রতি বছর পানির স্থর নেমে যাচ্ছে শুধু অপরিকল্পিত ভাবে পানি ব্যবহারে ।

অনিয়ন্ত্রিত সেচ পাম্প বসানোর কারণে প্রতি বছর ফ্রেবুয়ারির শেষ সময়ে বরেন্দ্র এলাকায় দেখা দেয় তীব্র পানি সংকট। সেচ বাণিজ্যর নামে একাধিক নলকূপ স্থাপনের অসাধু এ কারবার বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি  মানববন্ধনে নামে এলাকাবাসী। এলাকা বাসী বলেন, আমরা বরেন্দ্র’র ও বিদ্যুত বিভাগের সেচ বানিজ্য বন্ধ চাই । তারা কিছু টাকা নিয়ে যেখানে সেখানে সেচ পাম্প বসানোর ফলে মওসুমের আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে এলাকার ডোবানালা । পরে টিউবয়েল বসিয়ে আর পানি পচ্ছি না ।

২০১২ সাল থেকে গভীর নলকূপ স্থাপন বন্ধ  থাকায় অ-গভীর নলকুপ স্থাপনের প্রবণতা বেড়েছে। নিয়ম নীতি না মানলে আগামীতে এ অঞ্চলে পানির সংকট প্রকট হবে বলে মনে করছেন এ কর্মকর্তা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  নিবাহী প্রকৌশল মো: মতিউর রহমান

জেলায় প্রায় দু লাখ হেক্টর জমি চাষাবাদে বরেন্দ্র বহমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪০ হাজার ৫০টি গভীর নলকূপ এবং পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬৫ হাজার অগভীর নলকূপ দিয়ে তোলা হচ্ছে পানি ।

 

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সেচ বানিজ্যর কারনে পানি বিপর্যয়ে বরেন্দ্র জনপদ

আপডেট সময় ১২:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কোন ধরনের জরিপ না করেই বাণিজ্যিকভাবে গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপনের প্রতিযোগিতা চলছে নওগাঁর বরেন্দ্র মাঠগুলোতে। এতে ভূ অভ্যন্তর থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলেন দ্রত নেমে যাচ্ছে পানির স্তর।

অপরিকল্পিতভাবে পানি তোলায় বরেন্দ্র জনপদে গত এক দশকে অন্তত ১৫ ফুট নিচে নেমে গেছে পানির স্তর। লাগামহীনভাবে পানি তোলা বন্ধ না হলে সামনের দিনগুলোতে  দেখা দিবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়,বলছেন পরিবেশবিদরা।

প্রতি বছর পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জমি চাষাবাদ শুরু হয়  নওগাঁর বরেন্দ্র জনপদে ।গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে এ সময় শুরু হয় মাটির তলদেশ থেকে পানি তোলা। জমি সেচের নামে  বাণিজ্যকভাবে মাঠে দেয়া হয় অগভীর নলকূপের সংযোগ। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে গভীর নলকূপের পাশেই বসানো হয়েছে  একাধিক সেচমেশিন । এসব মেশিন দিয়ে ভূ অভ্যন্তর থেকে দিনরাত পানি তোলার চলছে অসম প্রতিযোগিতা।

(প্রতি মৌসুমে ভুগর্ভের পানি কি পরিমাণ ব্যবহার করা হয় এর কোন সু নিদিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে মওসুম এলে নতুন নতুন গভীর এবং অগভীর নলকুপ স্থাপন করার ফলে মাতাতিরিক্ত পানির ব্যবহার বেড়ে যায়, ফলে বরেন্দ্র জনপদে সুদুর প্রসারী এক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা বলছেন পরিবেশবিদরা। অপরকল্পিত পানি ব্যবহারে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকায় প্রতি বছর আনুপাতিক হারে ভূ-গর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়ার সমীক্ষা তুলে ধরা হয় এক কর্মশালায়। জানানো হয় আগামী দিনের উদ্বেগের কথা ।

নওগাঁ সরকারী কলেজ ভূগোল ও পরিবে বিভাগরে, বিভাগীয় প্রধান, মো: মিজানুর রহমান বলেন. আমরা আগামী দিনে জন্য এখনোই চিন্তা করে এগুনো দরকার । নওগাঁ জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশল মো: মাহমুদুল আলম শাহীন বলেন প্রতি বছর পানির স্থর নেমে যাচ্ছে শুধু অপরিকল্পিত ভাবে পানি ব্যবহারে ।

অনিয়ন্ত্রিত সেচ পাম্প বসানোর কারণে প্রতি বছর ফ্রেবুয়ারির শেষ সময়ে বরেন্দ্র এলাকায় দেখা দেয় তীব্র পানি সংকট। সেচ বাণিজ্যর নামে একাধিক নলকূপ স্থাপনের অসাধু এ কারবার বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি  মানববন্ধনে নামে এলাকাবাসী। এলাকা বাসী বলেন, আমরা বরেন্দ্র’র ও বিদ্যুত বিভাগের সেচ বানিজ্য বন্ধ চাই । তারা কিছু টাকা নিয়ে যেখানে সেখানে সেচ পাম্প বসানোর ফলে মওসুমের আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে এলাকার ডোবানালা । পরে টিউবয়েল বসিয়ে আর পানি পচ্ছি না ।

২০১২ সাল থেকে গভীর নলকূপ স্থাপন বন্ধ  থাকায় অ-গভীর নলকুপ স্থাপনের প্রবণতা বেড়েছে। নিয়ম নীতি না মানলে আগামীতে এ অঞ্চলে পানির সংকট প্রকট হবে বলে মনে করছেন এ কর্মকর্তা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  নিবাহী প্রকৌশল মো: মতিউর রহমান

জেলায় প্রায় দু লাখ হেক্টর জমি চাষাবাদে বরেন্দ্র বহমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪০ হাজার ৫০টি গভীর নলকূপ এবং পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬৫ হাজার অগভীর নলকূপ দিয়ে তোলা হচ্ছে পানি ।