ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জাল-নৌকা তুলে নিচ্ছেন জেলেরা

  • জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১০:০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৭২ Time View

ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। জেলেরা নদী থেকে জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ শিকারের সরঞ্জাম নদী থেকে উঠিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞার জন্য নৌকা ও ট্রলার তীরে নিয়ে এসেছেন। জালসহ মাছ শিকারের সকল উপকরণ গুছিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কোনো কোনো জেলে ভোর থেকে নদীতে দল বেঁধে মাছ শিকার করছেন।তুলাতুলি এলাকার নাছির মাঝি জানান, দুই মাসের জন্য সরকার নদীতে সবধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এজন্য নৌ ও ট্রলারসহ সবকিছু নিয়ে তীরে ফিরে এসেছি। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবার নদীতে গিয়ে মাছ ধরবো।

মো. লিটন মাঝি জানান, অভিযানের সময় সরকারিভাবে যে চাল বিতরণ করা হয় সেটি এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ ও দুই মাসের জন্য বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে নেওয়া কিস্তি আদায়ও বন্ধের জন্য দাবি করেন।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সবধরনের মাছ শিকারের নিষোধাজ্ঞা চলবে। এ বছর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলেদের ভিজিএফের চাল মার্চ মাসের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, ভোলার সাত উপজেলায় সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন। এদের মধ্যে ভিজিএফের চাল পাচ্ছেন ৮৯ হাজার ৬০০ জন।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জাল-নৌকা তুলে নিচ্ছেন জেলেরা

আপডেট সময় ১০:০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। জেলেরা নদী থেকে জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ শিকারের সরঞ্জাম নদী থেকে উঠিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞার জন্য নৌকা ও ট্রলার তীরে নিয়ে এসেছেন। জালসহ মাছ শিকারের সকল উপকরণ গুছিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কোনো কোনো জেলে ভোর থেকে নদীতে দল বেঁধে মাছ শিকার করছেন।তুলাতুলি এলাকার নাছির মাঝি জানান, দুই মাসের জন্য সরকার নদীতে সবধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এজন্য নৌ ও ট্রলারসহ সবকিছু নিয়ে তীরে ফিরে এসেছি। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবার নদীতে গিয়ে মাছ ধরবো।

মো. লিটন মাঝি জানান, অভিযানের সময় সরকারিভাবে যে চাল বিতরণ করা হয় সেটি এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ ও দুই মাসের জন্য বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে নেওয়া কিস্তি আদায়ও বন্ধের জন্য দাবি করেন।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সবধরনের মাছ শিকারের নিষোধাজ্ঞা চলবে। এ বছর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলেদের ভিজিএফের চাল মার্চ মাসের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, ভোলার সাত উপজেলায় সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন। এদের মধ্যে ভিজিএফের চাল পাচ্ছেন ৮৯ হাজার ৬০০ জন।