ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোর্ডের নিষেধাজ্ঞায় আফগান তিন ক্রিকেটার

  • ক্রীড়া ডেক্স
  • আপডেট সময় ১২:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

  • Warning: A non-numeric value encountered in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-content/themes/template-pro/template-parts/common/single_two.php on line 103
    ৫৮৬ Time View

বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে ফ্রাঞ্জাইজি লীগ গুলো বৃদ্ধি পাওয়ায় খেলোয়াররা আর জাতীয় দলে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না ।ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে অনেক দেশেই এখন এই লীগ গুলো তৈরি হয়েছে। যেটা গ্রাস করতে যাচ্ছিলো আফগানিস্তান ক্রিকেটকেও।

তিন আফগানি তারকা মুজিব-উর রহমান, ফজলহক ফারুকি ও নাভিন-উল হক আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যে, তাদের নাম যেন ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তির তালিকায় না রাখা হয়। একই সঙ্গে এই তিন ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অনুমতির জন্য আবেদনও করেন। আর এতেই চটেছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড।

জাতীয় দলের বার্ষিক চুক্তিতে না থাকা এবং ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার অনুমতি চাওয়ার অর্থ হলো, এই তিন তারকাকে আফগানিস্তান তাদের জাতীয় দলের ম্যাচে পাবে খুবই কম কিংবা একেবারে পাবেই না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারিন যেমন শুধু ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটই খেলেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলেন না। এ কারণে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যারপরনাই ক্ষুব্ধ এই তিন ক্রিকেটারের ওপর। শুধু তাই নয়, তিন ক্রিকেটারের আগামী দুই বছরের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার পথও রুদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। আগামী দুই বছর তারা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার জন্য কোনো ছাড়পত্র পাবে না।

জাতীয় দলের হয়ে খেলার চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য, এই তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড। যা একটি জাতীয় দায়িত্ব হিসাবে বিবেচিত করা হয়েছে এবং এ জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সোমবার আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) এক বিবৃতিতে কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘এই তিন খেলোয়াড় আনুষ্ঠানিকভাবে এসিবিকে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং জাতীয় ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য তাদের সম্মতি বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এই খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার উদ্দেশ্য হল, টি-টোয়েন্টির বাণিজ্যিক লিগে খেলা। এখানে আফগানিস্তানের হয়ে খেলার চেয়ে, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। চুক্তি থেকে তাদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

এসিবির কাছে সেই কমিটি তিন খেলোয়াড়ের শাস্তির যে সুপারিশ করেছে-

১) কেন্দ্রীয় চুক্তি না দেওয়া: ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই তিন খেলোয়াড় এক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তির যোগ্য হবেন না। এ ক্ষেত্রে, এসিবি প্রয়োজনে ইভেন্টগুলিতে তাদের অংশগ্রহণ বিবেচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে। ২) অন্যত্র খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না: এই খেলোয়াড়দের দুই বছরের জন্য অন্যত্র খেলার ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া হবে না। বাকি তাদের যাবতীয় যে এনওসি দেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করা হবে। ৩. আইসিসি, এসিসি, সদস্য দেশ/ক্রিকেট বোর্ড এবং আফগানিস্তানের জনগণসহ ক্রিকেট সম্প্রদায়কে স্বচ্ছভাবে এসিবি তাদের অবস্থান জানিয়ে দেবে।

সম্প্রতি আইপিএলের নিলামে মুজিব-উর রহমানকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিনি বর্তমানে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে খেলছেন।আইপিএলে লখনৌ সুপার জায়ান্টস রিটেইন করেছে নাভিন-উল হককে এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আবার ধরে রেখেছে ফজলহক ফারুকিকে। এই দুই খেলোয়াড় সম্প্রতি আবুধাবি টি-টেন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এই তিনজনই আফগানিস্তানের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেন।

এসিবির এই সিদ্ধান্তে এখন বড় সমস্যায় পড়ে গেল আইপিএলের তিন দল। কলকাতা নাইট রাইডার্স, লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০২৪ আইপিএল শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেতে চললো তারা।

বোর্ডের নিষেধাজ্ঞায় আফগান তিন ক্রিকেটার

আপডেট সময় ১২:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে ফ্রাঞ্জাইজি লীগ গুলো বৃদ্ধি পাওয়ায় খেলোয়াররা আর জাতীয় দলে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না ।ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে অনেক দেশেই এখন এই লীগ গুলো তৈরি হয়েছে। যেটা গ্রাস করতে যাচ্ছিলো আফগানিস্তান ক্রিকেটকেও।

তিন আফগানি তারকা মুজিব-উর রহমান, ফজলহক ফারুকি ও নাভিন-উল হক আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যে, তাদের নাম যেন ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তির তালিকায় না রাখা হয়। একই সঙ্গে এই তিন ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অনুমতির জন্য আবেদনও করেন। আর এতেই চটেছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড।

জাতীয় দলের বার্ষিক চুক্তিতে না থাকা এবং ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার অনুমতি চাওয়ার অর্থ হলো, এই তিন তারকাকে আফগানিস্তান তাদের জাতীয় দলের ম্যাচে পাবে খুবই কম কিংবা একেবারে পাবেই না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারিন যেমন শুধু ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটই খেলেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলেন না। এ কারণে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যারপরনাই ক্ষুব্ধ এই তিন ক্রিকেটারের ওপর। শুধু তাই নয়, তিন ক্রিকেটারের আগামী দুই বছরের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার পথও রুদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। আগামী দুই বছর তারা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার জন্য কোনো ছাড়পত্র পাবে না।

জাতীয় দলের হয়ে খেলার চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য, এই তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড। যা একটি জাতীয় দায়িত্ব হিসাবে বিবেচিত করা হয়েছে এবং এ জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সোমবার আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) এক বিবৃতিতে কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘এই তিন খেলোয়াড় আনুষ্ঠানিকভাবে এসিবিকে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং জাতীয় ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য তাদের সম্মতি বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এই খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার উদ্দেশ্য হল, টি-টোয়েন্টির বাণিজ্যিক লিগে খেলা। এখানে আফগানিস্তানের হয়ে খেলার চেয়ে, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। চুক্তি থেকে তাদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

এসিবির কাছে সেই কমিটি তিন খেলোয়াড়ের শাস্তির যে সুপারিশ করেছে-

১) কেন্দ্রীয় চুক্তি না দেওয়া: ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই তিন খেলোয়াড় এক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তির যোগ্য হবেন না। এ ক্ষেত্রে, এসিবি প্রয়োজনে ইভেন্টগুলিতে তাদের অংশগ্রহণ বিবেচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে। ২) অন্যত্র খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না: এই খেলোয়াড়দের দুই বছরের জন্য অন্যত্র খেলার ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া হবে না। বাকি তাদের যাবতীয় যে এনওসি দেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করা হবে। ৩. আইসিসি, এসিসি, সদস্য দেশ/ক্রিকেট বোর্ড এবং আফগানিস্তানের জনগণসহ ক্রিকেট সম্প্রদায়কে স্বচ্ছভাবে এসিবি তাদের অবস্থান জানিয়ে দেবে।

সম্প্রতি আইপিএলের নিলামে মুজিব-উর রহমানকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিনি বর্তমানে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে খেলছেন।আইপিএলে লখনৌ সুপার জায়ান্টস রিটেইন করেছে নাভিন-উল হককে এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আবার ধরে রেখেছে ফজলহক ফারুকিকে। এই দুই খেলোয়াড় সম্প্রতি আবুধাবি টি-টেন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এই তিনজনই আফগানিস্তানের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেন।

এসিবির এই সিদ্ধান্তে এখন বড় সমস্যায় পড়ে গেল আইপিএলের তিন দল। কলকাতা নাইট রাইডার্স, লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০২৪ আইপিএল শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেতে চললো তারা।