প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইদ আল-কাহতানি আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় ওআইসি প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে কাতারের রাষ্ট্রদূত আগামী বছরের ৪-৬ মার্চ কাতারে অনুষ্ঠেয় অষ্টম দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সের (ডিআইএমডিইএক্স) আমন্ত্রণপত্র শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রদর্শনীটি প্রতি দুই বছর অন্তর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।
বৈঠকে গাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সেরায়া আলি মাহদি সাঈদ জানান, এ বছর তাঁর দেশ ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি এবং জাতীয় দিবসের উৎসব অনুষ্ঠানের বরাদ্দকৃত ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গাজার জনগণের জন্য পাঠিয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশও ফিলিস্তিনিদের জন্য শুকনো খাবার ও কাপড়সহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস পাস করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালে কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অতি দ্রুত আমিরকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় আছি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্যসচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।