ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক সমর্থন থাক বা না থাক, গাজায় যুদ্ধ চলবে

ইসরায়েল- ফিলিস্তিন যুদ্ধে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন না পেলেও গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, তারা গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন এবং কোনো কিছুই তাদের থামাতে পারবে না।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু বলেন, বিজয় অর্জন এবং হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। কোনো কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা শেষ পর্যন্ত যাবো, বিজয় পর্যন্ত। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকুক বা না থাকুক, তারা গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। তার দাবি, এই মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে সেটি হামাসের হাতে একটি ‘উপহার তুলে’ দেওয়ার মতো হবে এবং তারা আবারও সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে চরম মানবিক সংকট তৈরি হওয়ায় বিশ্বের চাপের মুখে রয়েছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমা হামালার কারণে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে। গাজায় চলমান ইসরায়েলের হামলা নিয়ে জাতিসংঘের সাথে দেশটির সম্পর্ক সর্বকালের সবচেয়ে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১০ সেনা সদস্যকে হারিয়েছে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে একজন লেফট্যানেন্ট কর্নেলও রয়েছেন। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য এটি ছিল সবয়ে ভয়ংকর দিন।

অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী যেসব চরমপন্থি ইহুদি ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি বলেছেন, বসতি স্থাপনকারী চরমপন্থিদের সহিংসতায় পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের জীবনে চরম সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। এই সংঘাতের কারণে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি স্থাপনের সম্ভাবনা ফিঁকে হয়ে আসছে এবং এর মাধ্যমে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট।

জাতিসংঘ এবং অনেক দেশ মনে করে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু পশ্চিম তীরে বসবাসরত ইসরায়েলিরা সেটির চরম বিরোধিতা করে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ নেতানিয়াহু সরকারের প্রধান এজেন্ডা। কিন্তু এ বিষয়টি ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বড় বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আন্তর্জাতিক সমর্থন থাক বা না থাক, গাজায় যুদ্ধ চলবে

আপডেট সময় ১১:৩৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসরায়েল- ফিলিস্তিন যুদ্ধে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন না পেলেও গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, তারা গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন এবং কোনো কিছুই তাদের থামাতে পারবে না।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু বলেন, বিজয় অর্জন এবং হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। কোনো কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা শেষ পর্যন্ত যাবো, বিজয় পর্যন্ত। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকুক বা না থাকুক, তারা গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। তার দাবি, এই মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে সেটি হামাসের হাতে একটি ‘উপহার তুলে’ দেওয়ার মতো হবে এবং তারা আবারও সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে চরম মানবিক সংকট তৈরি হওয়ায় বিশ্বের চাপের মুখে রয়েছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমা হামালার কারণে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে। গাজায় চলমান ইসরায়েলের হামলা নিয়ে জাতিসংঘের সাথে দেশটির সম্পর্ক সর্বকালের সবচেয়ে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১০ সেনা সদস্যকে হারিয়েছে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে একজন লেফট্যানেন্ট কর্নেলও রয়েছেন। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য এটি ছিল সবয়ে ভয়ংকর দিন।

অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী যেসব চরমপন্থি ইহুদি ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি বলেছেন, বসতি স্থাপনকারী চরমপন্থিদের সহিংসতায় পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের জীবনে চরম সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। এই সংঘাতের কারণে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি স্থাপনের সম্ভাবনা ফিঁকে হয়ে আসছে এবং এর মাধ্যমে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট।

জাতিসংঘ এবং অনেক দেশ মনে করে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু পশ্চিম তীরে বসবাসরত ইসরায়েলিরা সেটির চরম বিরোধিতা করে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ নেতানিয়াহু সরকারের প্রধান এজেন্ডা। কিন্তু এ বিষয়টি ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বড় বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।