টিনএজার মার্ক গুইয়ে ভর করে পয়েন্ট হারানো শঙ্কা থেকে রেহাই পেয়েছে বার্সেলোনা। ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না ফ্রেঙ্কি ডি জং, পেদ্রি ও বরার্ট লেভানদভস্কি। আর তাতেই পয়েন্ট হারানোর ব্যবস্থা হয়েছিল বার্সেলোনার । শেষ পর্যন্ত তা হয়নি বরং পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। নিজেদের মাঠের খেলায় তারা অ্যাথলেতিক বিলবাওকে ১-০ গোলে হারিয়েছে।
বার্সেলোনার মূল্যবান এ জয়ে গোলটি করেছেন মার্ক গুই। ঠিকই ধরেছেন- এ আবার কে? বয়স মাত্র ১৭। বার্সেলোনার হয়ে গত রাতেই অভিষেক হয়েছে তার। বদলি খেলোয়াড় হয়ে মাঠে নেমেই এ টিনএজার প্রথম ম্যাচেই গোল করেছেন। ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। এ গালের মাধ্যমে গুই লা লিগার এই শতাব্দিতে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকে সর্বকণিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার কৃতত্বি দেখালেন।
ফারমিন লোপেজের পরিবর্তে মাঠে এসেছিলেন তিনি। মাঠে নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দলকে এনে দেন সেই কাঙ্খিত গোল। এ জয়ের ফলে বার্সেলোনা পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। দশ ম্যাচ শেষে ২৪ পয়েন্ট তাদের। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জিরোনা। গোল পার্থক্যে রিয়াল থেকে পিছিয়ে তারা।
বার্সেলোনার সামনে এখন শীর্ষে ওঠার হাতছানি। আর এ কাজটি করতে তাদেরকে একটা মাত্র ম্যাচে জয় পেতে হবে। আর সে ম্যাচটি আগামী শনিবার। এদিন রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তাদের ম্যাচ। লিগের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো নিজেদের মাঠে খেলবে বার্সেলোনা। বদলি টিনএজার মার্ক গুইয়ের গোলে বার্সেলোনা জিতেছে ঠিকই তবে হারলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। বরং সেটাই ছিল স্বাভাবিক। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও অ্যাথলেতিক বিলবাও কাজে লাগাতে পারেনি। তাদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে স্টেগান।
ম্যাচ শেষে গোলদাতা মার্ক গুই বলেন, গোল করার বিষয়টি আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা আমার জন্য অকল্পনীয়। সুযোগ সদ্ব্যবহারের জন্য সারা জীবন কাজ করে এসেছি। অবশেষে সুযোগটি আমার কাছে ধরা দিয়েছে।