ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনিদের পাশে পাকিস্থনি ক্রিকেটাররা।

  • ক্রিড়া ডেক্স
  • আপডেট সময় ০১:২৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৪৮৫ Time View

ইসরায়েলের হামলায় গাজা এখন যেন এক মৃত্যুপুরী। ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা থেকে হাসপাতালও বাদ যায়নি। প্রাণভয়ে ফিলিস্তিনের প্রায় ১০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। যাঁরা পালাতে পারেননি, তাঁদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসপাতালে। কাল সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৪৭১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৪ জন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হামাস–ইসরায়েল নতুন করে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার। গাজা উপত্যকায় প্রতি ১৫ মিনিটে একটি শিশু মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’।

এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়েরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করে ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বার্তা দিতে চেয়েছেন শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, উসামা মিররা।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে না-থাকাদের মধ্যে নোমান আলী, আমির ইয়ামিনরাও ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবিতে পোস্ট করেছেন। সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন আজহার আলী, কামরান আকমলরা। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা মোহাম্মদ আমিরও একই ধরনের পোস্ট করেছেন।

পাকিস্তানের অলরাউন্ডার নেওয়াজ ও ইফতিখার এবং ফাস্ট বোলার রউফ তাঁদের পোস্টে ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা করেছেন। শাদাব ও উসামা শান্তি কামনা করেছেন। আমির লিখেছেন, ‘আল্লাহ ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করুন।’ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে ফিলিস্তিনের সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪৫ রান তাড়া করে জেতে পাকিস্তান, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ওই ম্যাচে ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। তাঁর ‘বিশেষ’ সেঞ্চুরিটি গাজাবাসীকে উৎসর্গ করেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। টুইটারে লেখেন, ‘এই সেঞ্চুরি গাজার ভাইবোনদের জন্য।’

ভারতে বসে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পোস্টের জন্য রিজওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। শাদাব–নেওয়াজ–ইফতিখাররাও এমন সমস্যায় পড়েন কি না, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

ফিলিস্তিনিদের পাশে পাকিস্থনি ক্রিকেটাররা।

আপডেট সময় ০১:২৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েলের হামলায় গাজা এখন যেন এক মৃত্যুপুরী। ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা থেকে হাসপাতালও বাদ যায়নি। প্রাণভয়ে ফিলিস্তিনের প্রায় ১০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। যাঁরা পালাতে পারেননি, তাঁদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসপাতালে। কাল সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৪৭১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৪ জন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হামাস–ইসরায়েল নতুন করে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার। গাজা উপত্যকায় প্রতি ১৫ মিনিটে একটি শিশু মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’।

এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়েরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করে ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বার্তা দিতে চেয়েছেন শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, উসামা মিররা।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে না-থাকাদের মধ্যে নোমান আলী, আমির ইয়ামিনরাও ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবিতে পোস্ট করেছেন। সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন আজহার আলী, কামরান আকমলরা। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা মোহাম্মদ আমিরও একই ধরনের পোস্ট করেছেন।

পাকিস্তানের অলরাউন্ডার নেওয়াজ ও ইফতিখার এবং ফাস্ট বোলার রউফ তাঁদের পোস্টে ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা করেছেন। শাদাব ও উসামা শান্তি কামনা করেছেন। আমির লিখেছেন, ‘আল্লাহ ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করুন।’ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে ফিলিস্তিনের সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪৫ রান তাড়া করে জেতে পাকিস্তান, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ওই ম্যাচে ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। তাঁর ‘বিশেষ’ সেঞ্চুরিটি গাজাবাসীকে উৎসর্গ করেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। টুইটারে লেখেন, ‘এই সেঞ্চুরি গাজার ভাইবোনদের জন্য।’

ভারতে বসে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পোস্টের জন্য রিজওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। শাদাব–নেওয়াজ–ইফতিখাররাও এমন সমস্যায় পড়েন কি না, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।