ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কান্নায় ভেঙে পড়লেন চঞ্চল চৌধুরী

  • বিনোদন ডেক্স:
  • আপডেট সময় ০৬:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৬৮৮ Time View

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী (৯০) মারা গেছেন। মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী শাহানাজ খুশি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

চঞ্চলের নিজ এলাকা পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাট নিজের নিজ এলাকায় বুধবার তার বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কান্নায় ভেঙে পড়েন চঞ্চল। শাহনাজ খুশি বুধবার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিমর্ষ চঞ্চল চৌধুরীকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন স্বজনেরা।

শাহনাজ খুশি লিখেছেন, শেষ হলো চঞ্চল বন্ধু, তোর বাবার শেষ যাত্রা! কি বিচিত্র এ পৃথিবীর নিয়ম। গতকাল পর্যন্ত যে মানুষটাকে সর্বচ্চো পে করে কত যত্ন করে রাখা, প্রাণটা না থাকলে তাকেই কোথায় রেখে আসে! আমি প্রায়শ’ই বলতাম, যার যায়, সে ছাড়া এ নিষ্ঠুর শূন্যতা কেউ বোঝে না! এ কথাটা তেমন গুরুত্ব হয়ত তখন ছিল না ,অবশ্য এ ব্যাথার ওজন কথা দিয়ে করাও সম্ভব নয়।

 

বাবার চলে যাওয়ায় চঞ্চলের অবস্থা দেখে খুশি লিখেছেন, আজ তোর অকুল করা আহাজারি দেখে বুকটা বিদির্ন হচ্ছিল, আর বার বার মনে হচ্ছিল তুইও জেনে গেলি, যার যায় সেই জানে এ গভীর শূন্যতা!

তোর পাশে কত কত দরদী মানুষ বন্ধু! পাঁচবোন দুই ভাইয়ের অতি আদরের ঢাকা তুই, যেন কোন বাতাসেরও ছোঁয়াচ না লাগে!

খুশি আবেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, কেউ জানবে না কোনদিন আমার সে ক্ষত! সারা দেশের মানুষ তোর ব্যাথায় সমব্যাথী। তোর সব ব্যাথা মায়ায় ভরে উঠুক, তুই আবার আমাদের মাঝে তোর দারুণ সব কাজ নিয়ে ফিরে আয়, চিৎকার করে ফোনে বল, বন্ধু তুই খিঁচুরি রান্না কর,আসতেছি আড্ডা দিব, সেই অপেক্ষায় থাকলাম।

জানা যায়, দুই সপ্তাহ দিন ধরে চঞ্চল চৌধুরীর বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী হাসপাতালের ভর্তি ছিলেন। তার চিকিৎসা চলছিল আইসিইউতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করে মারা যান।

ট্যাগস

কান্নায় ভেঙে পড়লেন চঞ্চল চৌধুরী

আপডেট সময় ০৬:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী (৯০) মারা গেছেন। মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী শাহানাজ খুশি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

চঞ্চলের নিজ এলাকা পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাট নিজের নিজ এলাকায় বুধবার তার বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কান্নায় ভেঙে পড়েন চঞ্চল। শাহনাজ খুশি বুধবার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিমর্ষ চঞ্চল চৌধুরীকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন স্বজনেরা।

শাহনাজ খুশি লিখেছেন, শেষ হলো চঞ্চল বন্ধু, তোর বাবার শেষ যাত্রা! কি বিচিত্র এ পৃথিবীর নিয়ম। গতকাল পর্যন্ত যে মানুষটাকে সর্বচ্চো পে করে কত যত্ন করে রাখা, প্রাণটা না থাকলে তাকেই কোথায় রেখে আসে! আমি প্রায়শ’ই বলতাম, যার যায়, সে ছাড়া এ নিষ্ঠুর শূন্যতা কেউ বোঝে না! এ কথাটা তেমন গুরুত্ব হয়ত তখন ছিল না ,অবশ্য এ ব্যাথার ওজন কথা দিয়ে করাও সম্ভব নয়।

 

বাবার চলে যাওয়ায় চঞ্চলের অবস্থা দেখে খুশি লিখেছেন, আজ তোর অকুল করা আহাজারি দেখে বুকটা বিদির্ন হচ্ছিল, আর বার বার মনে হচ্ছিল তুইও জেনে গেলি, যার যায় সেই জানে এ গভীর শূন্যতা!

তোর পাশে কত কত দরদী মানুষ বন্ধু! পাঁচবোন দুই ভাইয়ের অতি আদরের ঢাকা তুই, যেন কোন বাতাসেরও ছোঁয়াচ না লাগে!

খুশি আবেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, কেউ জানবে না কোনদিন আমার সে ক্ষত! সারা দেশের মানুষ তোর ব্যাথায় সমব্যাথী। তোর সব ব্যাথা মায়ায় ভরে উঠুক, তুই আবার আমাদের মাঝে তোর দারুণ সব কাজ নিয়ে ফিরে আয়, চিৎকার করে ফোনে বল, বন্ধু তুই খিঁচুরি রান্না কর,আসতেছি আড্ডা দিব, সেই অপেক্ষায় থাকলাম।

জানা যায়, দুই সপ্তাহ দিন ধরে চঞ্চল চৌধুরীর বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী হাসপাতালের ভর্তি ছিলেন। তার চিকিৎসা চলছিল আইসিইউতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করে মারা যান।