ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর আট জেলায় বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ কার্যালয়ে যৌথ-সভা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর এই ঘোষণা দেন।

গত ২৬ নভেম্বর নাটোরে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তারা বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে তাদের দাবি পূরণে স্মারকলিপি দেন।

সাফকাত মঞ্জুর বলেন, মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১০ দফা দাবি হলো:

১. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে।

২. হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে।
৩. জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে।
৪. করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে।
৫. সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।
৬. চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে।
৭. পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৮. উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
৯. মহাসড়কে হাট-বাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। এবং
১০. যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।

এদিকে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিএনপি নেতাদের দাবি, অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সমাবেশে যেন নেতাকর্মীরা আসতে না পারে সে জন্য রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। ধর্মঘট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রাখা যাবে না। যে কোনো মূল্যে এই গণসমাবেশ সফল করা হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বলেন, গণসমাবেশের সঙ্গে তাদের ডাকা ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র নেই। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের এই কর্মসূচির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

রাজশাহীর আট জেলায় বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

আপডেট সময় ১১:৪৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ কার্যালয়ে যৌথ-সভা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর এই ঘোষণা দেন।

গত ২৬ নভেম্বর নাটোরে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তারা বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে তাদের দাবি পূরণে স্মারকলিপি দেন।

সাফকাত মঞ্জুর বলেন, মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১০ দফা দাবি হলো:

১. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে।

২. হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে।
৩. জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে।
৪. করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে।
৫. সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।
৬. চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে।
৭. পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৮. উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
৯. মহাসড়কে হাট-বাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। এবং
১০. যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।

এদিকে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিএনপি নেতাদের দাবি, অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সমাবেশে যেন নেতাকর্মীরা আসতে না পারে সে জন্য রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। ধর্মঘট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রাখা যাবে না। যে কোনো মূল্যে এই গণসমাবেশ সফল করা হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বলেন, গণসমাবেশের সঙ্গে তাদের ডাকা ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র নেই। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের এই কর্মসূচির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।