ফরিদপুরে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। চলবে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত। গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণায় শনিবারের সমাবেশে যোগ দিতে আগে থেকেই সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।
এদিকে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে আশপাশের জেলা থেকে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় আগেভাগে আসা নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। শহরের বাইরে আব্দুল আজিজ স্কুল মাঠেই থাকছেন তারা। অগ্রগামী এসব নেতা-কর্মীর জন্য মাঠের পাশেই হচ্ছে রান্নাবান্না।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফরিদপুর জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। মহাসড়কে সব ধরনের থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধের দাবিতে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
শুক্রবার ভোরে সরেজমিন দেখা যায়, ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। বাস চলাচল না করায় বিকল্প পথে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে, শহরে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। বিরোধীদের সমাবেশ ঘিরে বিশৃঙ্খলা হলে প্রতিহতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা।
ফরিদপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ স্কুল মাঠে গণসমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে জোরেশোরেই। ব্যানার-ফেস্টুনে চারদিকে যেন সাজ সাজ রব।
জানা গেছে, সমাবেশস্থলে নারীদের বসার জন্য আলাদা প্যান্ডেল করা হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে কাজ করছে একাধিক উপ-কমিটি। নিয়মিত শ্রমিকদের কার্যক্রম তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
এ সমাবেশও সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক জানান, বিএনপির গণসমাবেশ থেকে কোনো ধরনের উসকানিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি যেন না হয়, সে জন্য তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।