রাঙামাটি প্রতিনিধি : সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি পৌর শহরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ফলে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে থেকে পৌর শহরের অভ্যন্তরীণ একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালতগামী যাত্রীরা। বিকল্প কোনো গণপরিবহন না থাকায় অনেকে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
কলেজ গেটের বাসিন্দা প্রদিপ চাকমা বলেন, ‘ব্যাংকে চাকরি করি। আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। রাতেই হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তাই এখন হেঁটেই অফিস যাচ্ছি।’
প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা নাসিমা বেগম বলেন, ‘শহরের একমাত্র গণপরিবহন এরকম হুটহাট বন্ধ থাকলে আমরা বিপাকে পড়ে যাই। যদিও তাদের এ আন্দোলন যৌক্তিক। কিন্তু তারা পরিবহন বন্ধ রেখে যাত্রীদের কষ্টে ফেলার কী দরকার।’
রাঙ্গামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘শুক্রবার চাঁদার টোকেন না থাকায় একটি অটোরিকশা পুড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।
তার একদিন না পেরোতেই শনিবার রাতে আবার সন্ত্রাসীরা আমাদের আরেক শ্রমিক নেতার গাড়ি ভাঙচুর করে। একমাত্র চাঁদার জন্যই সন্ত্রাসীরা এসব করছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের জানমালের নিরাপত্তা চাই, না হলে গাড়ি চালাবো না।
রাঙ্গামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার বলেন, আমাদের ওপর একের পর এক হামলা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদের এ হামলার সুষ্ঠু বিচার করুক। দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনুক। আমাদের নিরাপত্তা দিক।’
তবে এসএসসি-দাখিল পরীক্ষার্থী, রোগী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত অটোরিকশা ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে বলেও জানান সংগঠনটির নেতারা।
শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে দুই নম্বর আগার বাগান এলাকায় চাঁদার টোকেন না থাকায় একদল সন্ত্রাসী অটোরিকশা চালক কামালকে মারধর করে। তার অটোরিকশাটি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন রাঙ্গামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
কিন্তু শনিবার (১৭ সেপ্টম্বর) রাত ১০টার দিকে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি-রাঙ্গাপানি সড়কে আবারও আরেক অটোরিকশা ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় চালক ও রাঙ্গামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকারী সদস্য আবুল হোসেনকে মারধর করে তারা।