ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরুর দুধে পানি মেশানোয় ১১৫ লিটার দুধ ফেলা হলো খালে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পানি মেশানোয় ১১৫ লিটার গরুর দুধ খালে ফেলেছেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া। এ সময় দুধ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন তিনি।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে পৌর শহরের চকবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন মেয়র।

পৌরসভা কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে শহরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় বাজার থেকে সংগ্রহ করা প্যাকেটজাত গুড়ো দুধের সঙ্গে পানিতে মিশিয়ে গরুর দুধ বলে বিক্রি করে আসছে। আবার কেউ কেউ দুধের সঙ্গে বাড়তি পানি মেশাচ্ছেন। এজন্য চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন মেয়র।

এ সময় দুধ ব্যবসায়ী চররুহিতা গ্রামের মনির হোসেন, দক্ষিণ মজুপুর এলাকার মো. হারুন ও কালিরচর গ্রামের রিয়াদ হোসেনের ১১৫ লিটার দুধ পরীক্ষা করে ভেজাল পাওয়া যায়। পরে দুধগুলো রহমতখালী খালের পানিতে ফেলা হয়।

তবে দুধ ব্যবসায়ী মনির হোসেনের দাবি, তিনি গ্রাম থেকে দুধ সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করেন। গরুর দুধের সঙ্গে প্যাকেট গুড়া দুধ বা পানি মিশ্রণের বিষয়ে তার জানা নেই।

অভিযানকালে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ হিল হাকিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভেজালরোধে অভিযান চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতারণা করায় ১১৫ লিটার দুধ নষ্ট করা হয়। এ নিয়ে সব দুধ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’

ট্যাগস

গরুর দুধে পানি মেশানোয় ১১৫ লিটার দুধ ফেলা হলো খালে

আপডেট সময় ০৬:২১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পানি মেশানোয় ১১৫ লিটার গরুর দুধ খালে ফেলেছেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া। এ সময় দুধ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন তিনি।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে পৌর শহরের চকবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন মেয়র।

পৌরসভা কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে শহরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় বাজার থেকে সংগ্রহ করা প্যাকেটজাত গুড়ো দুধের সঙ্গে পানিতে মিশিয়ে গরুর দুধ বলে বিক্রি করে আসছে। আবার কেউ কেউ দুধের সঙ্গে বাড়তি পানি মেশাচ্ছেন। এজন্য চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন মেয়র।

এ সময় দুধ ব্যবসায়ী চররুহিতা গ্রামের মনির হোসেন, দক্ষিণ মজুপুর এলাকার মো. হারুন ও কালিরচর গ্রামের রিয়াদ হোসেনের ১১৫ লিটার দুধ পরীক্ষা করে ভেজাল পাওয়া যায়। পরে দুধগুলো রহমতখালী খালের পানিতে ফেলা হয়।

তবে দুধ ব্যবসায়ী মনির হোসেনের দাবি, তিনি গ্রাম থেকে দুধ সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করেন। গরুর দুধের সঙ্গে প্যাকেট গুড়া দুধ বা পানি মিশ্রণের বিষয়ে তার জানা নেই।

অভিযানকালে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ হিল হাকিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভেজালরোধে অভিযান চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতারণা করায় ১১৫ লিটার দুধ নষ্ট করা হয়। এ নিয়ে সব দুধ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’