ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয় ছাপিয়ে ক্লাসিকো নিয়ে ভয় রিয়ালের

গোল করছেন ভিনিসিয়ুসছবি: রয়টার্স

ভিনিসিয়ুসের ড্রিবল, বেনজেমার গোল, সেই পুরোনো মার্সেলোর ফেরা—সবই ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও মায়োর্কার ম্যাচে। তবে সব ছাপিয়ে ভয়ংকর সব ট্যাকলই চোখ কেড়েছে আগে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও করিম বেনজেমার সুবাদে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

কিন্তু জয় ছাপিয়ে রিয়ালের এখন শঙ্কা জেগেছে এল ক্লাসিকো নিয়ে।

আর ৬ দিন পর বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ। এমন ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড়কে হারানোর শঙ্কায় আছেন রিয়াল কোচ।

ভয়টা ছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে নিয়ে। দুর্দান্ত গতি আর ড্রিবলিং আগেও ছিল, এ মৌসুমে সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতাটা দেখাচ্ছেন বলে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার গোলও পাচ্ছেন। লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ দলগুলো তাঁকে লক্ষ্য বানিয়ে নামছে ইদানীং। কাল যেমন মনে হচ্ছিল মায়োর্কার পাবলো মাফেও ভিনিসিয়ুসের পা সঙ্গে নিয়ে তবেই মাঠ ছাড়বেন। ৩০ মিনিটে যে ট্যাকলের শিকার হয়েছিলেন, তা একটু এদিক-ওদিক হলেই মৌসুম শেষ করে দিতে পারত তাঁর। রেফারি মাফেওকে কোনো কার্ড দেখাননি, এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় উল্টো ভিনিকেই দেখতে হয়েছে হলুদ কার্ড।

এরপরও ভিনিকে অনেক ট্যাকলের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু কোচ কার্লো আনচেলত্তির চিন্তা বাড়িয়েছেন অন্যরা। প্রতিপক্ষের ট্যাকলে অন্যের কাঁধে ভর করে মাঠ ছেড়েছেন উইঙ্গার রদ্রিগো। লেফটব্যাক ফারলাঁ মেন্দি মাঠ ছেড়েছেন পেশিতে টান পেয়ে।

এর চেয়েও হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে শেষ দিকে। দলের মূল গোল ভরসা বেনজেমা দ্বিতীয় গোলের পরই অস্বস্তিতে ছিলেন। বারবার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের পেশিতে টান পেয়েছেন। কিন্তু মাঠ ছাড়তে পারছিলেন না। কারণ, এর আগেই পাঁচ বদলি খেলোয়াড় নেমে গেছে মাঠে। অতিসাবধানী আনচেলত্তি তাঁকে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে বলছিলেন না। কিন্তু অধিনায়ক হয়ে বেনজেমা যা করতে পারছিলেন না, সেটা নেতা মদরিচ করে দিয়েছিলেন। কোচের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে বেনজেমাকে মাঠ ছেড়ে যেতে বলে দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের শেষ ৫ মিনিট আর যোগ করা সময়ের ৫ মিনিট ১০জন নিয়েই খেলেছে রিয়াল।

মায়োর্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে লিগ জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে রিয়াল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেভিয়ার চেয়ে এখন ১০ পয়েন্ট এগিয়ে লস ব্লাঙ্কোরা। কিন্তু আনচেলত্তি এখনো সাবধানী। ১০ ম্যাচ বাকি থাকতে ১০ পয়েন্ট এগিয়েও কেন এত সাবধানী, এর উত্তরে ২০০৫ সালে ইস্তাম্বুলের সেই চ্যাম্পিয়ন লিগ ফাইনালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘কিছুই বদলায়নি। রোববার (বার্সেলোনার বিপক্ষে) আমাদের জিততে হবে। শারীরিকভাবে দল বেশ ভালো আছে, এর সুবিধা নিতে হবে। আমি জানি ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় কীভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগ হারা যায়। এটা ঘটেছে!’

আনচেলত্তিকে এতটা সাবধানী না হলেও চলত। অন্তত বেনজেমা-ভিনিসিয়ুস এখন যে ফর্মে আছেন, তাতে লা লিগা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করলেও চলে। চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বেনজেমা। তিনটি গোলেই অবদান ছিল ভিনিসিয়ুসের। গতকাল তিন গোলের দুটি বেনজেমার, অন্যটি ভিনির।

ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালের আক্রমণের প্রাণ ভিনিসিয়ুস। এ কারণে কড়া ট্যাকলেরও শিকার হতে হয়েছে। ঘরের মাঠে মায়োর্কাও অবশ্য ছেড়ে কথা বলছিল না। তবে দলের সেরা অস্ত্রকে ঠিকভাবে ব্যবহার করেনি দলটি। রিয়াল থেকে ধারে যাওয়া তাকেফুসো কুবোকে তাঁর স্বাভাবিক অবস্থান ডান প্রান্তে খেলতে না দিয়ে বাঁদিকে রেখেছিলেন কোচ, যাতে মেন্দি ও ভিনিসিয়ুসকে সামলাতে না হয়। সে তুলনায় রিয়ালের ডান প্রান্ত কিছুটা দুর্বল। কিন্তু অপরিচিত পজিশনে ওভাবে জ্বলে উঠতে পারছিলেন না কুবো। এরপরও বেশ কবার ভীতিজাগানো আক্রমণ করেছে মায়োর্কা। ওদিকে রিয়ালের আক্রমণগুলো বক্সের আশপাশেই ঘুরপাক খাচ্ছিল প্রথমার্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা মেলে। এতে ফেদেরিকো ভালভার্দের অবদান না বললে অন্যায় হবে। নিজের বক্সের সামনে বল পেয়েছিলেন ইদ্রুসু বাবা। মিনিট খানিক আগেই ভালভার্দে-বাবার লড়াই হয়েছিল বলের দখল নিয়ে। সে লড়াইয়ে রেফারির চোখে জয়ী হয়েছিলেন বাবা। ৫৪ মিনিটে এর প্রতিশোধ নিলেন ভালভার্দে। প্রেস করে তাঁকে বল হারাতে বাধ্য করলেন। বল পেয়ে গেলেন বেনজেমা। বক্সে ঢুকে বল দিয়ে দিলেন বাঁ প্রান্তে থাকা ভিনিকে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল বা পায়েই গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।

এরপরই মাঠে নামেন লুকা মদরিচ ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এতে ম্যাচে রিয়ালের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যায়। ৭৭ মিনিটে এর ফলও মিলেছে। বেনজেমা বক্সে পাস দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিনি যেন এটা ধরতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করতে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেনজেমা। ৮০ মিনিটে মেন্দি উঠে গেলে মাঠে নামেন মার্সেলো। আর ৮২ মিনিটেই ঝলক। দারুণ এক ক্রস ফেলেছেন বক্সে, যা পুরো ম্যাচে মেন্দিকে একবারও করতে দেখা যায়নি।

লাফিয়ে উঠে হেড করে জালে পাঠিয়েছেন বেনজেমা। কিন্তু লাফ দেওয়াটাই কাল হয়েছে। মাটিতে নামার সময় বেকায়দায় পড়ে ব্যাথা পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ক্লাবের পক্ষ থেকে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি, তাঁকে বার্সেলোনার বিপক্ষে পাওয়া যাবে কিনা।

ট্যাগস

জয় ছাপিয়ে ক্লাসিকো নিয়ে ভয় রিয়ালের

আপডেট সময় ১০:১৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২

ভিনিসিয়ুসের ড্রিবল, বেনজেমার গোল, সেই পুরোনো মার্সেলোর ফেরা—সবই ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও মায়োর্কার ম্যাচে। তবে সব ছাপিয়ে ভয়ংকর সব ট্যাকলই চোখ কেড়েছে আগে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও করিম বেনজেমার সুবাদে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

কিন্তু জয় ছাপিয়ে রিয়ালের এখন শঙ্কা জেগেছে এল ক্লাসিকো নিয়ে।

আর ৬ দিন পর বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ। এমন ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড়কে হারানোর শঙ্কায় আছেন রিয়াল কোচ।

ভয়টা ছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে নিয়ে। দুর্দান্ত গতি আর ড্রিবলিং আগেও ছিল, এ মৌসুমে সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতাটা দেখাচ্ছেন বলে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার গোলও পাচ্ছেন। লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ দলগুলো তাঁকে লক্ষ্য বানিয়ে নামছে ইদানীং। কাল যেমন মনে হচ্ছিল মায়োর্কার পাবলো মাফেও ভিনিসিয়ুসের পা সঙ্গে নিয়ে তবেই মাঠ ছাড়বেন। ৩০ মিনিটে যে ট্যাকলের শিকার হয়েছিলেন, তা একটু এদিক-ওদিক হলেই মৌসুম শেষ করে দিতে পারত তাঁর। রেফারি মাফেওকে কোনো কার্ড দেখাননি, এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় উল্টো ভিনিকেই দেখতে হয়েছে হলুদ কার্ড।

এরপরও ভিনিকে অনেক ট্যাকলের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু কোচ কার্লো আনচেলত্তির চিন্তা বাড়িয়েছেন অন্যরা। প্রতিপক্ষের ট্যাকলে অন্যের কাঁধে ভর করে মাঠ ছেড়েছেন উইঙ্গার রদ্রিগো। লেফটব্যাক ফারলাঁ মেন্দি মাঠ ছেড়েছেন পেশিতে টান পেয়ে।

এর চেয়েও হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে শেষ দিকে। দলের মূল গোল ভরসা বেনজেমা দ্বিতীয় গোলের পরই অস্বস্তিতে ছিলেন। বারবার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের পেশিতে টান পেয়েছেন। কিন্তু মাঠ ছাড়তে পারছিলেন না। কারণ, এর আগেই পাঁচ বদলি খেলোয়াড় নেমে গেছে মাঠে। অতিসাবধানী আনচেলত্তি তাঁকে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে বলছিলেন না। কিন্তু অধিনায়ক হয়ে বেনজেমা যা করতে পারছিলেন না, সেটা নেতা মদরিচ করে দিয়েছিলেন। কোচের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে বেনজেমাকে মাঠ ছেড়ে যেতে বলে দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের শেষ ৫ মিনিট আর যোগ করা সময়ের ৫ মিনিট ১০জন নিয়েই খেলেছে রিয়াল।

মায়োর্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে লিগ জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে রিয়াল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেভিয়ার চেয়ে এখন ১০ পয়েন্ট এগিয়ে লস ব্লাঙ্কোরা। কিন্তু আনচেলত্তি এখনো সাবধানী। ১০ ম্যাচ বাকি থাকতে ১০ পয়েন্ট এগিয়েও কেন এত সাবধানী, এর উত্তরে ২০০৫ সালে ইস্তাম্বুলের সেই চ্যাম্পিয়ন লিগ ফাইনালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘কিছুই বদলায়নি। রোববার (বার্সেলোনার বিপক্ষে) আমাদের জিততে হবে। শারীরিকভাবে দল বেশ ভালো আছে, এর সুবিধা নিতে হবে। আমি জানি ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় কীভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগ হারা যায়। এটা ঘটেছে!’

আনচেলত্তিকে এতটা সাবধানী না হলেও চলত। অন্তত বেনজেমা-ভিনিসিয়ুস এখন যে ফর্মে আছেন, তাতে লা লিগা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করলেও চলে। চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বেনজেমা। তিনটি গোলেই অবদান ছিল ভিনিসিয়ুসের। গতকাল তিন গোলের দুটি বেনজেমার, অন্যটি ভিনির।

ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালের আক্রমণের প্রাণ ভিনিসিয়ুস। এ কারণে কড়া ট্যাকলেরও শিকার হতে হয়েছে। ঘরের মাঠে মায়োর্কাও অবশ্য ছেড়ে কথা বলছিল না। তবে দলের সেরা অস্ত্রকে ঠিকভাবে ব্যবহার করেনি দলটি। রিয়াল থেকে ধারে যাওয়া তাকেফুসো কুবোকে তাঁর স্বাভাবিক অবস্থান ডান প্রান্তে খেলতে না দিয়ে বাঁদিকে রেখেছিলেন কোচ, যাতে মেন্দি ও ভিনিসিয়ুসকে সামলাতে না হয়। সে তুলনায় রিয়ালের ডান প্রান্ত কিছুটা দুর্বল। কিন্তু অপরিচিত পজিশনে ওভাবে জ্বলে উঠতে পারছিলেন না কুবো। এরপরও বেশ কবার ভীতিজাগানো আক্রমণ করেছে মায়োর্কা। ওদিকে রিয়ালের আক্রমণগুলো বক্সের আশপাশেই ঘুরপাক খাচ্ছিল প্রথমার্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা মেলে। এতে ফেদেরিকো ভালভার্দের অবদান না বললে অন্যায় হবে। নিজের বক্সের সামনে বল পেয়েছিলেন ইদ্রুসু বাবা। মিনিট খানিক আগেই ভালভার্দে-বাবার লড়াই হয়েছিল বলের দখল নিয়ে। সে লড়াইয়ে রেফারির চোখে জয়ী হয়েছিলেন বাবা। ৫৪ মিনিটে এর প্রতিশোধ নিলেন ভালভার্দে। প্রেস করে তাঁকে বল হারাতে বাধ্য করলেন। বল পেয়ে গেলেন বেনজেমা। বক্সে ঢুকে বল দিয়ে দিলেন বাঁ প্রান্তে থাকা ভিনিকে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল বা পায়েই গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।

এরপরই মাঠে নামেন লুকা মদরিচ ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এতে ম্যাচে রিয়ালের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যায়। ৭৭ মিনিটে এর ফলও মিলেছে। বেনজেমা বক্সে পাস দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিনি যেন এটা ধরতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করতে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেনজেমা। ৮০ মিনিটে মেন্দি উঠে গেলে মাঠে নামেন মার্সেলো। আর ৮২ মিনিটেই ঝলক। দারুণ এক ক্রস ফেলেছেন বক্সে, যা পুরো ম্যাচে মেন্দিকে একবারও করতে দেখা যায়নি।

লাফিয়ে উঠে হেড করে জালে পাঠিয়েছেন বেনজেমা। কিন্তু লাফ দেওয়াটাই কাল হয়েছে। মাটিতে নামার সময় বেকায়দায় পড়ে ব্যাথা পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ক্লাবের পক্ষ থেকে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি, তাঁকে বার্সেলোনার বিপক্ষে পাওয়া যাবে কিনা।