ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তাপুর এলাকায় একই পরিবারের বিস্ফোরণে নিহত ৪

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :  মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বিস্ফোরণে একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধের ঘটনায় শান্তা বেগম (২৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ চারজনই মারা গেলেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

এর আগে দুই সন্তানসহ ওই নারীর স্বামী মারা যান বলেও জানান ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক।

উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণে একই পরিবারের ওই চারজন দগ্ধ হন। শান্তা বেগম ছাড়া অন্য দগ্ধরা হলেন- মো. কাউসার খান (৪২), ছেলে ইয়াসিন খান (৫) ও মেয়ে নহর খান (৩)।

কাউসার আবুল খায়ের কোম্পানি লিমিটেডের রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। চাকরি সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির দুই তলায় থাকেন।

স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, ওইদিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে কাউসার খানদের বাড়িতে বিকট শব্দ হয়। তাদের ঘরের সবাই চিৎকার করছিলেন। পরে লোকজন বের হয়ে দেখতে পান, তাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে। তখন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভান।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ বলেন, বাসার দরজা–জানালা, বিছানা, মশারি সব আগুনে পুড়ে গেছে। দগ্ধ সবাইকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, যে কোনোভাবে বাসার কক্ষে গ্যাস জমা হয়। পরে মশার কয়েল বা বিদ্যুতের সুইচ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান বলেন, ঘরের কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মুক্তাপুর এলাকায় একই পরিবারের বিস্ফোরণে নিহত ৪

আপডেট সময় ১১:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :  মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বিস্ফোরণে একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধের ঘটনায় শান্তা বেগম (২৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ চারজনই মারা গেলেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

এর আগে দুই সন্তানসহ ওই নারীর স্বামী মারা যান বলেও জানান ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক।

উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণে একই পরিবারের ওই চারজন দগ্ধ হন। শান্তা বেগম ছাড়া অন্য দগ্ধরা হলেন- মো. কাউসার খান (৪২), ছেলে ইয়াসিন খান (৫) ও মেয়ে নহর খান (৩)।

কাউসার আবুল খায়ের কোম্পানি লিমিটেডের রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। চাকরি সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির দুই তলায় থাকেন।

স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, ওইদিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে কাউসার খানদের বাড়িতে বিকট শব্দ হয়। তাদের ঘরের সবাই চিৎকার করছিলেন। পরে লোকজন বের হয়ে দেখতে পান, তাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে। তখন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভান।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ বলেন, বাসার দরজা–জানালা, বিছানা, মশারি সব আগুনে পুড়ে গেছে। দগ্ধ সবাইকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, যে কোনোভাবে বাসার কক্ষে গ্যাস জমা হয়। পরে মশার কয়েল বা বিদ্যুতের সুইচ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান বলেন, ঘরের কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে