ডেক্স রিপোর্ট : নাইকো দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আংশিক অব্যাহতির আবেদনের শুনানি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান কেরানীগঞ্জের কারাভবনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি গ্রহণ করেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রায় ১ ঘণ্টা সময় নিয়ে এ শুনানি করেন। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়া এদিন আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা প্রদান করেন।
আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘আমরা অব্যাহতির আবেদনের শুনানিতে বলেছি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই নাইকোর সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন। পরবর্তীতে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে মাত্র। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। হাইকোর্ট থেকে তার মামলা কোয়াশ (বাতিল) হয়ে গেছে। তাই আমাদের মামলাও চলতে পারে না।’
চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলার খালেদা জিয়াকে ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। এরপর ২ মার্চ দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল আসামি খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন। ওইদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আংশিক অব্যাহতির আবেদনের শুনানি হয়। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বরও আংশিক অব্যাহতির আবেদনের শুনানি হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার অপর ২ আসামি বিচারকালীন মারা গেছেন।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রীট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।