ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

স্টাফ রিপোর্টার:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও ঢাবি শিক্ষক আয়েশা মাহমুদাকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া এবং আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় এ রুল জারি করেন আদালত।

বুধবার (৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারী ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদ এবং তার পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রুলে আদালতের আদেশ পালন না করায় বিবাদীদের (বর্তমান ও সাবেক দুই ভিসিসহ চারজনের) বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

ঢাবির বর্তমান ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান চৌধুরী।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো.আছরারুল হক জানান, ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৎকালীন রেজিস্টার রেজাউর রহমান ওই বছরের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষককের পদোন্নতি দেন। সিনিয়র হওয়ার পরেও পদোন্নতি না পেয়ে একই বিভাগের অপর শিক্ষক আয়েষা মাহমুদ ২০০৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে ২০০৬ সালের মে মাস থেকে পদোন্নতি দিয়ে জ্যেষ্ঠ পদমর্যাদার সব সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই তিন শিক্ষকের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করা হয়।

এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। আপিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রিটিসহ ২০০৬ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল থাকলেও আয়েষা মাহমুদের কোনো ক্ষতি হবে না।

এরপর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আয়েষা মাহমুদকে নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

আইনজীবী আছারারুল হক বলেন, আদালতের আদেশের পরেও ঢাবি কর্তৃপক্ষ কৌশলে আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রটি হিসেবে দুই নম্বরে রাখলেন। কিন্তু সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে দেওয়ার কথা ছিলো। এর মধ্যে সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে থাকা ওই তিন শিক্ষকের একজন চেয়ারম্যান হয়েছেন। ফলে তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রুল জারি করেছেন।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

আপডেট সময় ০২:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও ঢাবি শিক্ষক আয়েশা মাহমুদাকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া এবং আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় এ রুল জারি করেন আদালত।

বুধবার (৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারী ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদ এবং তার পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রুলে আদালতের আদেশ পালন না করায় বিবাদীদের (বর্তমান ও সাবেক দুই ভিসিসহ চারজনের) বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

ঢাবির বর্তমান ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান চৌধুরী।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো.আছরারুল হক জানান, ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৎকালীন রেজিস্টার রেজাউর রহমান ওই বছরের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষককের পদোন্নতি দেন। সিনিয়র হওয়ার পরেও পদোন্নতি না পেয়ে একই বিভাগের অপর শিক্ষক আয়েষা মাহমুদ ২০০৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে ২০০৬ সালের মে মাস থেকে পদোন্নতি দিয়ে জ্যেষ্ঠ পদমর্যাদার সব সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই তিন শিক্ষকের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করা হয়।

এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। আপিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রিটিসহ ২০০৬ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল থাকলেও আয়েষা মাহমুদের কোনো ক্ষতি হবে না।

এরপর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আয়েষা মাহমুদকে নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

আইনজীবী আছারারুল হক বলেন, আদালতের আদেশের পরেও ঢাবি কর্তৃপক্ষ কৌশলে আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রটি হিসেবে দুই নম্বরে রাখলেন। কিন্তু সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে দেওয়ার কথা ছিলো। এর মধ্যে সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে থাকা ওই তিন শিক্ষকের একজন চেয়ারম্যান হয়েছেন। ফলে তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রুল জারি করেছেন।