নওগাঁ প্রতিনিধি : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) আওয়ামীলীগের দলীয় ফরম বিক্রি উন্মুক্ত করা হলেও নওগাঁর মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে এ ফরম বিক্রির নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রত্যেক প্রার্থীর কাছে ‘আবেদন ফরম’ বিক্রির নাম করে ২০ হাজার ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই না, ওইসব নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন, অনিয়ম, দূর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। মান্দা উপজেলায় এ পর্যন্ত ৬৩ জন এ ফরম কিনেছেন বলে জানা গেছে। মান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার আগেই মনোনয়ন বাণিজ্য করায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে এ অর্থ নেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট নেতারা স্বীকার করলেও তারা দাবী করছেন দলীয় কার্যালয় নির্মাণের জন্য নেওয়া হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ছাপানো আবেদন ফরমটি গত বুধবার থেকে বিক্রি শুরু করা হয়েছে।
মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ মোর্শেদ বাবুর ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে ২০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন ফরম কিনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল দেওয়ান ও গোলাম রাব্বানী দুলাল নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতাদের কাছে ওই বিশেষ আবেদন ফরম বিক্রি করছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় নির্মাণ ও খরচের নামে এ পরিমাণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে টাকা গ্রহণের কোন রশিদ দেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস নির্মাণের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে এটা সত্য। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম কেন্দ্র থেকেই কিনবেন এবং সেখানেই জমা দেবেন। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
তবে চেয়ারম্যানের নমিনেশন ঘিরে দলীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড করার জন্য প্রার্থীদের আবেদন ফরম বিক্রি করে কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এখান থেকে আবেদন ফরম নিতেই হবে এ ধরণের কোনো নির্দেশনা উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে দেওয়া হয়নি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কোনো ধরণের হুমকি-ধামকিও দেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, ‘মান্দায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার কানে এসেছে। বিষয়টি জানার পর আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। পার্টি অফিসের ভবন নির্মাণের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ওই টাকা তুলছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।