ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

সন্দেহ থেকে প্রেমিকের থাপ্পড়, হাসপাতালে মিললো তরুণীর মরদেহ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সোনিয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১০ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে জেলা শহরের কাউতুলী দি আল ফালাহ হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সোনিয়া আক্তার জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণের আজিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালটিতে সহকারী নার্সের কাজ করতেন।

পুলিশের ধারণা, কীটনাশক খেয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

হাসপাতাল ও পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোনিয়া আক্তার প্রায় তিন বছর আগে আল ফালাহ হাসপাতালে সহকারী নার্স পদে যোগদান করেন। সেখানে চাকরি করার সুবাদে পাশের রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের স্টাফ মোহাম্মদ শীতলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। শীতলের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার নেমতাবাদে। গত দুই বছর ধরে সোনিয়া ও শীতলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি শীতল জানতে পারেন সোনিয়ার আরও একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এ সন্দেহ থেকে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।

রোববার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারা জেলা শহরের দাতিয়ারার ফারুকী পার্কে দেখা করেন। এ সময় সোনিয়ার সঙ্গে আরও একটি ছেলের সম্পর্কের বিষয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোনিয়াকে থাপ্পড় দেন শীতল। এরপর সোনিয়া তার হাসপাতালে গিয়ে চালে দেওয়ার কেড়ির ওষুধ (কীটনাশক) খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় প্রেমিক শীতলকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সোনিয়ার মামা মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নির মৃত্যুর খবর পেয়েছি মধ্যরাতে। এরআগে রাত ৯টার দিকে সে তার বোনের সঙ্গে কথা বলেছে। আমার ভাগ্নি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালের কেউ আমাদের এখনো কিছু জানায়নি এবং মর্গেও কেউ আসেনি। আমরা ভাগ্নির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি ওই তরুণী কেড়ির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সন্দেহ থেকে প্রেমিকের থাপ্পড়, হাসপাতালে মিললো তরুণীর মরদেহ

আপডেট সময় ০৩:২৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সোনিয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১০ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে জেলা শহরের কাউতুলী দি আল ফালাহ হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সোনিয়া আক্তার জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণের আজিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালটিতে সহকারী নার্সের কাজ করতেন।

পুলিশের ধারণা, কীটনাশক খেয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

হাসপাতাল ও পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোনিয়া আক্তার প্রায় তিন বছর আগে আল ফালাহ হাসপাতালে সহকারী নার্স পদে যোগদান করেন। সেখানে চাকরি করার সুবাদে পাশের রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের স্টাফ মোহাম্মদ শীতলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। শীতলের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার নেমতাবাদে। গত দুই বছর ধরে সোনিয়া ও শীতলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি শীতল জানতে পারেন সোনিয়ার আরও একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এ সন্দেহ থেকে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।

রোববার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারা জেলা শহরের দাতিয়ারার ফারুকী পার্কে দেখা করেন। এ সময় সোনিয়ার সঙ্গে আরও একটি ছেলের সম্পর্কের বিষয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোনিয়াকে থাপ্পড় দেন শীতল। এরপর সোনিয়া তার হাসপাতালে গিয়ে চালে দেওয়ার কেড়ির ওষুধ (কীটনাশক) খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় প্রেমিক শীতলকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সোনিয়ার মামা মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নির মৃত্যুর খবর পেয়েছি মধ্যরাতে। এরআগে রাত ৯টার দিকে সে তার বোনের সঙ্গে কথা বলেছে। আমার ভাগ্নি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালের কেউ আমাদের এখনো কিছু জানায়নি এবং মর্গেও কেউ আসেনি। আমরা ভাগ্নির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি ওই তরুণী কেড়ির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।