ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝর্ণার পানিতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার, মায়ের সন্ধান চলছে

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে পাহাড়ের রাঙাঝিরিতে পানির স্রোতে ছেলে-মেয়েসহ মায়ের নিখোঁজের ঘটনায় মেয়ে বাজেরুঙ ত্রিপুরা (১২) ও ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাজেরুঙ ত্রিপুরা ও বেলা ১১টার দিকে প্রদীপ ত্রিপুরার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে, এখনও তাদের মা কৃষ্ণতী ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ কৃষ্ণতী ত্রিপুরা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাংঙ্গাই ত্রিপুরাপাড়া এলাকার মৃত দিয়াম্ব ত্রিপুরার স্ত্রী।

মিলনছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানিয়েছেন, ঝিরির বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাজেরুঙ ত্রিপুরার লাশ এবং বেলা ১১টার দিকে তাঁর ভাই প্রদীপ ত্রিপুরার লাশ উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। তাঁদের মা নিখোঁজ কৃষ্ণতী ত্রিপুরার সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, সদর ইউনিয়নের সাংঙ্গাই ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের জুম খামার থেকে ফেরার পথে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাঙাঝিরি পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে নামে একই পরিবারের চার জন। এ সময় হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

এরপর তাড়াহুড়ো করে রাঙাঝিরি থেকে ওঠার সময় পা পিছলে পাহাড়ি ঝিরির পানির স্রোতে মেয়ে বাজেরুঙ ত্রিপুরা, ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরাসহ ভেসে যান তাদের মা কৃষ্ণতী ত্রিপুরা।

এ সময় আহত হলেও রক্ষা পান নিখোঁজ কৃষ্ণতী ত্রিপুরার ছোট বোন রাম্বতি ত্রিপুরা। খবর পেয়ে স্থানীয়রা রাঙাঝিরিসহ আশপাশের পাহাড়ের ছড়ামুখগুলোতে নিখোঁজদের খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জগদীশ ত্রিপুরা জানান, পাহাড়ি জুম থেকে পাড়ায় ফেরার পথে কৃষ্ণতী ত্রিপুরাসহ চার জন পাশের ঝিরিতে গোসল করতে নামে।

এ সময় প্রবল বর্ষণ শুরু হলে ঝিরি থেকে ওঠার সময় পাহাড়ের মাটি ধসে ঝিরিতে পড়ে যায় তারা। এ সময় কৃষ্ণতী ত্রিপুরার ছোট বোন রাম্বতি ত্রিপুরা প্রাণে বেঁচে গেলেও অপর তিন জন পাহাড়ি ঢলে ভেসে যায়।

ট্যাগস

ঝর্ণার পানিতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার, মায়ের সন্ধান চলছে

আপডেট সময় ০১:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে পাহাড়ের রাঙাঝিরিতে পানির স্রোতে ছেলে-মেয়েসহ মায়ের নিখোঁজের ঘটনায় মেয়ে বাজেরুঙ ত্রিপুরা (১২) ও ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাজেরুঙ ত্রিপুরা ও বেলা ১১টার দিকে প্রদীপ ত্রিপুরার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে, এখনও তাদের মা কৃষ্ণতী ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ কৃষ্ণতী ত্রিপুরা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাংঙ্গাই ত্রিপুরাপাড়া এলাকার মৃত দিয়াম্ব ত্রিপুরার স্ত্রী।

মিলনছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানিয়েছেন, ঝিরির বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাজেরুঙ ত্রিপুরার লাশ এবং বেলা ১১টার দিকে তাঁর ভাই প্রদীপ ত্রিপুরার লাশ উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। তাঁদের মা নিখোঁজ কৃষ্ণতী ত্রিপুরার সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, সদর ইউনিয়নের সাংঙ্গাই ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের জুম খামার থেকে ফেরার পথে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাঙাঝিরি পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে নামে একই পরিবারের চার জন। এ সময় হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

এরপর তাড়াহুড়ো করে রাঙাঝিরি থেকে ওঠার সময় পা পিছলে পাহাড়ি ঝিরির পানির স্রোতে মেয়ে বাজেরুঙ ত্রিপুরা, ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরাসহ ভেসে যান তাদের মা কৃষ্ণতী ত্রিপুরা।

এ সময় আহত হলেও রক্ষা পান নিখোঁজ কৃষ্ণতী ত্রিপুরার ছোট বোন রাম্বতি ত্রিপুরা। খবর পেয়ে স্থানীয়রা রাঙাঝিরিসহ আশপাশের পাহাড়ের ছড়ামুখগুলোতে নিখোঁজদের খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জগদীশ ত্রিপুরা জানান, পাহাড়ি জুম থেকে পাড়ায় ফেরার পথে কৃষ্ণতী ত্রিপুরাসহ চার জন পাশের ঝিরিতে গোসল করতে নামে।

এ সময় প্রবল বর্ষণ শুরু হলে ঝিরি থেকে ওঠার সময় পাহাড়ের মাটি ধসে ঝিরিতে পড়ে যায় তারা। এ সময় কৃষ্ণতী ত্রিপুরার ছোট বোন রাম্বতি ত্রিপুরা প্রাণে বেঁচে গেলেও অপর তিন জন পাহাড়ি ঢলে ভেসে যায়।