তাদের কথা অনুযায়ী বাসাটিতে জেএমবির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা থাকতেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বসিলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আস্তানা থেকে আটক জঙ্গির নাম এমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টার।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বসিলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার জেএমবির চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই জঙ্গির আস্তানা সন্ধান পাওয়া যায়। গ্রেফতার জঙ্গিরা জিজ্ঞাসাবাদে বসিলা থেকে আটক জঙ্গির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছিল র্যাবকে।
এর ভিত্তিতে র্যাব ঢাকার বাইরে জামালপুর ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্যরাত থেকে বসিলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। অভিযানে বর্তমান সময়ের জেএমবির এক শীর্ষ নেতাকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক জঙ্গির নাম এমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টার।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিযানস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, নগদ পৌনে তিন লাখ টাকা, রাসায়নিকদ্রব্য, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও বেশকিছু জিহাদি বই জব্দ করা হয়। আস্তানা থেকে আটক জঙ্গিকে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া সে জেএমবির কোন পর্যায়ের সদস্য তা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাসার দারোয়ান ও আটক জঙ্গিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে চলতি মাসের ২ তারিখে ভবনটির দোতালায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করার কথা বলে।
বাসা ভাড়ার সময় পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবারের লোকজন এলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে এমন শর্তে বাসাটি ভাড়া নেয় আটক জঙ্গি ও আরেকজন। বাসাটিতে আরও দুইজন লোকের আসা-যাওয়া ছিল। তারা গতকাল বাসাটি থেকে বের হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। অভিযানে এখন পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে র্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট ও ফরেনসিক টিম বসিলার চারতলা ওই ভবনটিতে প্রবেশ করে।