ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

রাজধানীতে শিশুকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

লালবাগ প্রতিনিধি : রাজধানীর লালবাগ এলাকার গত শুক্রবার রাতে হাফিজ (১১) নামের এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার লালবাগ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, হাফিজ (১১) নামের শিশু পেশায় হকার ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, রাস্তায় দেখা হলে হাফিজ তাদের গালাগালি ও খারাপ ব্যবহার করত। এতে জেরে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে গ্রেপ্তার চারজন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা হারুন শেখ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

লালবাগ থানার এসআই শেখ ফিরোজ আলম বলেন, ছাদের বাথরুমের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল হাফিজের মৃতদেহ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে জবাই করা হয়। এ ছাড়া তার ঘাড়ে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাটের রশি ও রক্তমাখা বস্তা, চিপসের প্যাকেটসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

নিহতের বাবা হারুন শেখ পেশায় রিকশা চালক। তিনি বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় হকারি করত হাফিজ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসার সামনে খেলছিল তার ছেলে। সন্ধ্যার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ শনিবার সকালে তাঁরা জানতে পারেন, ডুরী আঙুরী লেনের ৪৭/১ নম্বর বাসার ছাদে তাঁর ছেলেকে জবাই করে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত হাফিজের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার দক্ষিণ বাড়ি খাল এলাকায়। লালবাগের ডুরী আঙুরী লেনের সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত শিশুটির পরিবার। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছোট। তার মায়ের নাম ডালিম বেগম।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

রাজধানীতে শিশুকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

আপডেট সময় ১২:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

লালবাগ প্রতিনিধি : রাজধানীর লালবাগ এলাকার গত শুক্রবার রাতে হাফিজ (১১) নামের এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার লালবাগ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, হাফিজ (১১) নামের শিশু পেশায় হকার ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, রাস্তায় দেখা হলে হাফিজ তাদের গালাগালি ও খারাপ ব্যবহার করত। এতে জেরে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে গ্রেপ্তার চারজন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা হারুন শেখ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

লালবাগ থানার এসআই শেখ ফিরোজ আলম বলেন, ছাদের বাথরুমের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল হাফিজের মৃতদেহ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে জবাই করা হয়। এ ছাড়া তার ঘাড়ে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাটের রশি ও রক্তমাখা বস্তা, চিপসের প্যাকেটসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

নিহতের বাবা হারুন শেখ পেশায় রিকশা চালক। তিনি বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় হকারি করত হাফিজ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসার সামনে খেলছিল তার ছেলে। সন্ধ্যার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ শনিবার সকালে তাঁরা জানতে পারেন, ডুরী আঙুরী লেনের ৪৭/১ নম্বর বাসার ছাদে তাঁর ছেলেকে জবাই করে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত হাফিজের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার দক্ষিণ বাড়ি খাল এলাকায়। লালবাগের ডুরী আঙুরী লেনের সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত শিশুটির পরিবার। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছোট। তার মায়ের নাম ডালিম বেগম।