মুন্সিগঞ্জ প্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় ও যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এমন চিত্র ছিল শিমুলিয়ায়। শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনালে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গাদাগাদি করে লঞ্চে উঠছেন দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা।
নির্দেশনা অমান্য করে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। ভোর থেকেই ফেরিগুলোতে যানবাহনের চাপও অব্যাহত আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালে লঞ্চ নোঙর করা মাত্রই অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে প্রবেশ করছেন। তাদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, যানবাহনের যাত্রীদের ফেরি পার হতে ঘাটে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাকগুলো একদিন ধরে পারের অপেক্ষায় আছে। পার হতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ভোর থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির অনেক চাপ আছে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগে সেখানে লাগছে দেড় ঘণ্টার বেশি।’
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হাফিজ জানিয়েছে, শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে প্রাইভেট কার ও ট্রাকের সংখ্যাই বেশি আছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পশুবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে পার করা হচ্ছে। ঈদের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুই শতাধিক ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। এসব ট্রাক ধীরে ধীরে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে ৮৭টি মধ্যে ৮৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যাত্রীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি লঞ্চগুলো যাতে নির্দেশনা মেনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করে সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’
‘যাত্রীদের নিরাপদ ঈদ-যাত্রার জন্য প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘লঞ্চ চলাচলের পথে পণ্যবাহী নৌযান বাধা সৃষ্টি না করে সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে।’