আশরাফুল ইসলামের বাড়ি পাবনার সুজানগর এলাকায়। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন, কারখানা এখনো ছুটি হয়নি, তাই তিনি এখনই বাড়ি যেতে পারছেন না। ঈদের ছুটির চাপ বাড়ার আগেই স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের মতো শত শত ঘরমুখী মানুষ চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার ভিড় করছেন।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানজট নেই বললেই চলে। তবে মাঝেমধ্যে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। সেই চাপ সামলানোর জন্য চন্দ্রা ত্রিমোড়সহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের চলমান কাজের কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া, ছয়দানা মালেকের বাড়ি, কুণিয়া বড়বাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মূল সমস্যা বিআরটি প্রকল্পের উন্নয়নকাজ। তারপরও আমরা যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। মহাসড়কে হঠাৎ হঠাৎ যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তখন কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনের পুলিশ সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল টিম দায়িত্বে আছে।’