ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যু মে মারমা, বান্দরবানে পরিচিত হচ্ছেন ‘স্বর্ণকন্যা’ নামে

বান্দরবান প্রতিনিধি: দরিদ্র জুমচাষীর ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ন্যু মে মারমা এখন বান্দরবানে পরিচিত হচ্ছেন ‘স্বর্ণকন্যা’ নামে। বাংলাদেশ গেমসে কারাতে প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জেতা এই তরুণী উঠে এসেছেন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিয়ে এরই মধ্যে জিতেছেন একাধিক পদক। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নবম বাংলাদেশ গেমসে কারাতে ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয় করে সবাইকে চমকে দেন বান্দরবানের মেয়ে ন্যু মে মারমা।

এর আগে ২০০০ সালেও জাতীয় পর্যায়ে সবার সেরা হন ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী।

তবে যাত্রা মসৃণ ছিলো না কখনোই। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল বড়ইতলীতে এক দরিদ্র জুমচাষী পরিবারে জন্ম।

২০১১ সালে লামা উপজেলায় মহামনি শিশু সদনে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তির পর খুলে যায় নতুন দুয়ার।

ওই সদন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তৎকালীন দেশসেরা কারাতে খেলোয়াড়ের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ করে তোলেন নিজেকে। কয়েক বছর পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিয়ে জিততে থাকেন পদক। ন্যু ছিলেন সাফ গেমসের দলেও।

লামা মাতামুহুরি সরকারি কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী ন্যু’র দক্ষতা আর একাগ্রতায় মুগ্ধ তার প্রশিক্ষকও। তারা বলছেন, যথাযথ তদারকি ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সেরা হওয়ার যোগ্যতা আছে তার।

ট্যাগস

ন্যু মে মারমা, বান্দরবানে পরিচিত হচ্ছেন ‘স্বর্ণকন্যা’ নামে

আপডেট সময় ০১:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

বান্দরবান প্রতিনিধি: দরিদ্র জুমচাষীর ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ন্যু মে মারমা এখন বান্দরবানে পরিচিত হচ্ছেন ‘স্বর্ণকন্যা’ নামে। বাংলাদেশ গেমসে কারাতে প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জেতা এই তরুণী উঠে এসেছেন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিয়ে এরই মধ্যে জিতেছেন একাধিক পদক। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নবম বাংলাদেশ গেমসে কারাতে ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয় করে সবাইকে চমকে দেন বান্দরবানের মেয়ে ন্যু মে মারমা।

এর আগে ২০০০ সালেও জাতীয় পর্যায়ে সবার সেরা হন ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী।

তবে যাত্রা মসৃণ ছিলো না কখনোই। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল বড়ইতলীতে এক দরিদ্র জুমচাষী পরিবারে জন্ম।

২০১১ সালে লামা উপজেলায় মহামনি শিশু সদনে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তির পর খুলে যায় নতুন দুয়ার।

ওই সদন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তৎকালীন দেশসেরা কারাতে খেলোয়াড়ের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ করে তোলেন নিজেকে। কয়েক বছর পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিয়ে জিততে থাকেন পদক। ন্যু ছিলেন সাফ গেমসের দলেও।

লামা মাতামুহুরি সরকারি কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী ন্যু’র দক্ষতা আর একাগ্রতায় মুগ্ধ তার প্রশিক্ষকও। তারা বলছেন, যথাযথ তদারকি ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সেরা হওয়ার যোগ্যতা আছে তার।