নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের গুলিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং করার সময় তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পিকেটাররা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আহতরা সবাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাদলের অনুসারী।
আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫) ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম চয়ন (১৮)।
অন্য আহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। গুরুতর আহত চয়নকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার চোখসহ শরীরেরে বিভিন্ন অংশে গুলি লেগেছে।
গুলিবিদ্ধরা বলেন, তারা কাদের মির্জার গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন করার সময় পুলিশ বেপরোয়া গুলি চালায়। এতে অন্তত ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টেকের বাজারে হরতালের সমর্থনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। পরে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, পিকেটাররা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০-২৫ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারে প্রধান সড়কের ইসলামী ব্যাংকের সামনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে জখম করে। পরে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ।