স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এলএসডিসহ (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩১ মে) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এর আগে এদিন দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।
গত রোববার (৩০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এলএসডিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও থানা পুলিশ।
পরে ওই দিন রাতেই এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, গত এক বছর ধরে দেশে এলএসডির ব্যবসা চালিয়ে আসছে তারা।
এ ব্যবসায় রয়েছে আরও ১৩-১৪টি চক্র। তার আগে রাজধানী থেকে ভয়ংকর মাদক এলএসডি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তিন শিক্ষার্থী হলেন- সাদমান সাকিব ওরফে রুপল (২৫), অসহাব ওয়াদুদ ওরফে তূর্য (২২) ও আদিব আশরাফ (২৩)। তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে (বিবিএ) পড়েন।
এলএসডি বেচাকেনায় জড়িত অভিযোগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাদের হেফাজত থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুরকে কার্জন হল এলাকায় তার তিন বন্ধু এলএসডি সেবন করান। এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ডাব বিক্রেতার ভ্যানে রাখা দা নিয়ে তিনি নিজের গলায় আঘাত করেন।
তিনি পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আট দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তার মরদেহ অজ্ঞাতনামা হিসেবে পড়ে ছিল। পরে তার ভাই এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর থেকেই এলএসডির বিষয়টি আলোচনায় আসে।