চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর সংসারে এল তিন অতিথি। এরা সবাই জো বাইডেনের স্বজন। মা পরীর তদারকিতে সুস্থ রয়েছে তিনটি শাবকই।
একে একে ৩টি সন্তান প্রসব করছে বাঘিনী পরী। আর সিসিটিভি ফুটেজে সে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন চিড়িয়াখানার কিউরেটর। সম্প্রতি অপর বাঘিনী জয়ার সংসারে দু’দফায় চারটি বাঘ শাবকের মৃত্যু ঘটায় এই ৩টি শাবক নিয়ে কিছুটা উৎকণ্ঠায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, জয়ার ঘরে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে বাচ্ছাগুলো খেয়ে ফেলেছে। এ ঘটনা যাতে না ঘটে। সেজন্য সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বাঘিনী পরী এখন পর্যন্ত তার তিন শাবককে দুধ পান করানোর পাশাপাশি তাদের যথাযথ দেখভাল করছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা টাইগার কেয়ারটেকার মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন বলেন, বাচ্চাকে ঠিকভাবে দুধ খাওয়াচ্ছে কিনা এবং পা দিয়ে পাড়িয়ে মেলে ফেলছে কি-না সেটা মোবাইলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
দেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানা কিংবা সাফারি পার্ক বাঘের বংশ বিস্তারে সফল না হলেও গত ৪ বছরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে বেশ কয়েকটি শাবক। বন বিভাগকে এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর তাগিদ চিড়িয়াখানার কিউরেটরের।
কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৩-৪ বছরে ১০-১২ বাঘের বাচ্চা জন্ম দেওয়া সম্ভব।
বতমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এই তিন শাবকসহ ৯টি বাঘ রয়েছে। ৬ মাস আগে জন্ম হয়েছিল জো বাইডেনের।