ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ মামুনুলকে আদালতে হাজির করবে আজ

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি ”মাওলানা মামুনুল হক”

স্টাফ রিপোর্টারঃ  হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হকের সাতদিনের রিমান্ড সোমবার (২৬ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে।

রিমান্ড শেষে সকালেই তাকে আবারও আদালতে হাজির করবে পুলিশ। তবে এই মামলায় আর রিমান্ড চাইবে না পুলিশ।

রোববার (২৫ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুরে গত বছরের মামলায় মামুনুল হকের সাতদিনের রিমান্ড শেষ হবে সোমবার। সোমবার সকালেই তাকে আবারও আদালতে হাজির করা হবে।’

আদালতের কাছে আবারও রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ আমরা তাকে আর রিমান্ডের আবেদন করব না।’

এদিকে, গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল মামুনুলকে আদালতে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামুনুলেল সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৬ মার্চ মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ এলাকায় সাতগম্বুজ মসজিদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামি মাওলানা মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার ছাত্র আসামি ওমর এবং ওসমান, বাদী ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্যদের মসজিদের ভেতর আমল করতে নিষেধ করেন। তাদের ধর্মীয় কাজে আঘাত করে তাদেরকে আসামিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলে।

বাদী ঘটনার প্রতিবাদ করলে মাওলানা মামুনুল ও তার ভাইয়ের নির্দেশে ওই মাদরাসার আরও ৭০ থেকে ৮০ জন ছাত্র মাদরাসা থেকে বের হয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন। ওমর ও ওসমান তাদের হাতের লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর আসামিরা বাদীর কাছে থাকা একটি মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিড কার্ডসহ বাদীর মানিব্যাগ নিয়ে যাযন এবং পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করতে দেখলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন আসামিরা।

মামুনুলের বিরুদ্ধে অত্র মামলায় জড়িত থাকার সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মভীরু মুসলমান ও মাদরাসার ছাত্রদের উস্কে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে যৌথভাবে গ্রেফতার করেহেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

ট্যাগস

পুলিশ মামুনুলকে আদালতে হাজির করবে আজ

আপডেট সময় ০৯:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ  হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হকের সাতদিনের রিমান্ড সোমবার (২৬ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে।

রিমান্ড শেষে সকালেই তাকে আবারও আদালতে হাজির করবে পুলিশ। তবে এই মামলায় আর রিমান্ড চাইবে না পুলিশ।

রোববার (২৫ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুরে গত বছরের মামলায় মামুনুল হকের সাতদিনের রিমান্ড শেষ হবে সোমবার। সোমবার সকালেই তাকে আবারও আদালতে হাজির করা হবে।’

আদালতের কাছে আবারও রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ আমরা তাকে আর রিমান্ডের আবেদন করব না।’

এদিকে, গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল মামুনুলকে আদালতে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামুনুলেল সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৬ মার্চ মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ এলাকায় সাতগম্বুজ মসজিদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামি মাওলানা মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার ছাত্র আসামি ওমর এবং ওসমান, বাদী ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্যদের মসজিদের ভেতর আমল করতে নিষেধ করেন। তাদের ধর্মীয় কাজে আঘাত করে তাদেরকে আসামিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলে।

বাদী ঘটনার প্রতিবাদ করলে মাওলানা মামুনুল ও তার ভাইয়ের নির্দেশে ওই মাদরাসার আরও ৭০ থেকে ৮০ জন ছাত্র মাদরাসা থেকে বের হয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন। ওমর ও ওসমান তাদের হাতের লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর আসামিরা বাদীর কাছে থাকা একটি মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিড কার্ডসহ বাদীর মানিব্যাগ নিয়ে যাযন এবং পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করতে দেখলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন আসামিরা।

মামুনুলের বিরুদ্ধে অত্র মামলায় জড়িত থাকার সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মভীরু মুসলমান ও মাদরাসার ছাত্রদের উস্কে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে যৌথভাবে গ্রেফতার করেহেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।