ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইয়াসিন আরাফাত নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ২ বন্ধুকে আটক করেছে। শনিবার (২০ ফোব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা শহরের হাজীপাড়ার ভাড়া বাসার ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আরাফাত আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী আব্দুর রহমানের ছেলে। আটকরা হলো মকবুল হোসেনের ছেলে আলভী ও মৃত ফিরোজ শিকদারের ছেলে একান্ত শিকদার।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে ইয়াসিন আরাফাতকে তার বন্ধু আলভী, একান্ত শিকদার, প্রান্ত শিকদার, রায়হান ও সুমন ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

বারবার তাকে ফোন করলেও রিসিভ করছিল না। পরে রাত সাড়ে ১১টায় ইয়াসিনের ভাই তুষার ইয়াসিনের ব্যক্তিগত ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভয়েজ মেসেজে দেখতে পান সে তার বন্ধু রায়হানকে বলছে তারা বাসার ছাদে আছে।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে দ্রুত বাসার ছাদে গিয়ে দেখতে পান ছাদের গেট ভেতর থেকে বন্ধ, অনেক ডাকাডাকির পর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রাতেই বাসায় ফিরে আসেন।

পরে শনিবার সকালে পাশের ছাদ দিয়ে গিয়ে দেখেন জিআই তার গলায় পেঁচিয়ে ইয়াসিনের মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে ওর বন্ধুরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৪:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইয়াসিন আরাফাত নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ২ বন্ধুকে আটক করেছে। শনিবার (২০ ফোব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা শহরের হাজীপাড়ার ভাড়া বাসার ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আরাফাত আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী আব্দুর রহমানের ছেলে। আটকরা হলো মকবুল হোসেনের ছেলে আলভী ও মৃত ফিরোজ শিকদারের ছেলে একান্ত শিকদার।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে ইয়াসিন আরাফাতকে তার বন্ধু আলভী, একান্ত শিকদার, প্রান্ত শিকদার, রায়হান ও সুমন ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

বারবার তাকে ফোন করলেও রিসিভ করছিল না। পরে রাত সাড়ে ১১টায় ইয়াসিনের ভাই তুষার ইয়াসিনের ব্যক্তিগত ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভয়েজ মেসেজে দেখতে পান সে তার বন্ধু রায়হানকে বলছে তারা বাসার ছাদে আছে।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে দ্রুত বাসার ছাদে গিয়ে দেখতে পান ছাদের গেট ভেতর থেকে বন্ধ, অনেক ডাকাডাকির পর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রাতেই বাসায় ফিরে আসেন।

পরে শনিবার সকালে পাশের ছাদ দিয়ে গিয়ে দেখেন জিআই তার গলায় পেঁচিয়ে ইয়াসিনের মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে ওর বন্ধুরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।