ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo সেবার মাধ্যমে পুলিশের হারানো ইমেজ ফিরে পেতে হবে: ডিএমপি কমিশনার Logo টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেফতার Logo স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ইসলামী দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান: মাওলানা আব্দুল বাছিত Logo নওগাঁয় শব্দ সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা Logo পোড়া অফিস দেখে বিমর্ষ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী Logo চোখের জলে নয়নকে বিদায় জানালো ফায়ার সার্ভিস Logo ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠাচ্ছে জার্মানি Logo সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কি না তদন্তের পর জানা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে

শিক্ষা ডেক্সঃ  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব সরকারি শিক্ষককে ১৩তম গ্রেডে বেতন দেয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও শিথিল করা হয়েছে। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে।

আদেশে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ জারির পূর্বে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে যারা এখনো কর্মরত আছেন, তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলপূর্বক বেতন গ্রেড নির্ধারণে অর্থ বিভাগের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।

এ আদেশের ফলে সব শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করার সিদ্ধান্ত হয়।

এতদিন প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে প্রশিক্ষণ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন।

কিন্তু পরিবর্তিত নিয়োগবিধি ও যোগ্যতার কারণে বেতন নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাতে অসংখ্য শিক্ষক বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন।

কারণ ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার আগে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, পরে তা বাড়ানো হয়। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এখন আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩-এর সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্তের আদেশ জারি হয়েছে।

এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি দূর হলো বলে মনে করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষকরা।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

সেবার মাধ্যমে পুলিশের হারানো ইমেজ ফিরে পেতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে

আপডেট সময় ০৫:২৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শিক্ষা ডেক্সঃ  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব সরকারি শিক্ষককে ১৩তম গ্রেডে বেতন দেয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও শিথিল করা হয়েছে। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে।

আদেশে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ জারির পূর্বে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে যারা এখনো কর্মরত আছেন, তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলপূর্বক বেতন গ্রেড নির্ধারণে অর্থ বিভাগের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।

এ আদেশের ফলে সব শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করার সিদ্ধান্ত হয়।

এতদিন প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে প্রশিক্ষণ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন।

কিন্তু পরিবর্তিত নিয়োগবিধি ও যোগ্যতার কারণে বেতন নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাতে অসংখ্য শিক্ষক বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন।

কারণ ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার আগে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, পরে তা বাড়ানো হয়। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এখন আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩-এর সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্তের আদেশ জারি হয়েছে।

এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি দূর হলো বলে মনে করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষকরা।