ঢাকা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক নিহত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শিশুর দুধ কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক সুমনের (২৭) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকেই স্থানীয় লোকজন দুলাভাই হাবিবুল্লাহকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত সুমন কিশোরগঞ্জের রশিদাবাদ গ্রামের মৃত মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক।

আটক হাবিবুল্লাহ একই এলাকার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। তারা ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নিহতের বোন হোসনে আরা জানান, তিন বছর আগে হাবিবুল্লাহর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত পাঁচমাস আগে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। হাবিবুল্লাহ রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।

আর তার ভাই সুমন তাদের সঙ্গেই ভাড়া বাড়িতে থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। প্রায় এক মাস ধরে শিশু পুত্রের দুধ কিনে দিতেন না হাবিবুল্লা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুমনের সঙ্গে হাবিবুল্লার কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে সুমন বাড়ির সামনে রাস্তায় দাড়ালে হাবিবুল্লাহ পিছন থেকে পরপর কয়েকবার সুমনকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাবিবুল্লাহকে পুলিশে সোপর্দ করে তারা।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক সুমন খুন হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন হাবিবুল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নারায়ণগঞ্জে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক নিহত

আপডেট সময় ০২:১৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শিশুর দুধ কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক সুমনের (২৭) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকেই স্থানীয় লোকজন দুলাভাই হাবিবুল্লাহকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত সুমন কিশোরগঞ্জের রশিদাবাদ গ্রামের মৃত মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক।

আটক হাবিবুল্লাহ একই এলাকার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। তারা ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নিহতের বোন হোসনে আরা জানান, তিন বছর আগে হাবিবুল্লাহর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত পাঁচমাস আগে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। হাবিবুল্লাহ রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।

আর তার ভাই সুমন তাদের সঙ্গেই ভাড়া বাড়িতে থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। প্রায় এক মাস ধরে শিশু পুত্রের দুধ কিনে দিতেন না হাবিবুল্লা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুমনের সঙ্গে হাবিবুল্লার কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে সুমন বাড়ির সামনে রাস্তায় দাড়ালে হাবিবুল্লাহ পিছন থেকে পরপর কয়েকবার সুমনকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাবিবুল্লাহকে পুলিশে সোপর্দ করে তারা।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক সুমন খুন হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন হাবিবুল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।