ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আট মাস পর কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক আজাদ

এইচএম শাহারীয়ার, পত্নীতলা, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর পত্নীতলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আট মাস ১৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হলেন সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

সাংবাদিক আজাদ নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় ‘দৈনিক আমাদের সময়’ ও ‘দৈনিক অবজারভার’ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  তিনি নজিপুর পৌর এলাকার আল-হেরা স্কুলপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার আফরোজা আকতার নামের এক কিশোরী করোনাকালে তার পিতা খাবার যোগাড়ে ব্যর্থ হলে সে না খেয়ে থাকার পরে আত্মহত্যা করে।

এ সংবাদ বেলকুচির সব সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সহ বিভিন্ন অনলাইনে ফলাও করে প্রকাশ করে। সেই সংবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে পরে সেই কিশোরী আফরোজার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে খাবার সরবরাহসহ আর্থিক সংকট মোচনে সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

এ সংবাদসহ সরকারি প্রণোদনার একটি চুলচেরা হিসাব দিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত বছরের ১২ এপ্রিল সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদকে নজিপুর পৌর এলাকার আল-হেরা স্কুলপাড়া থেকে আটক করে পুলিশ।

পরে পত্নীতলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মূলত সংবাদ টি হলো সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার।

সেখানকার সাংবাদিকেরা বহাল তবিয়তে থাকলে মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে নওগাঁর বিশিষ্ট সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দিন আজাদ কে।

ঘটনাটি বেশ কষ্টদায়ক ও দুঃখজনক বলে অনেক সাংবাদিকের বিশ্বাস। এ-র দায় কার? শুধু কি সাংবাদিক আজাদের একার না সেখানকার কর্মরত ও রির্পোট প্রকাশকারী অন্য সাংবাদিকের উপরও বর্তায় বটে।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আট মাস পর কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক আজাদ

আপডেট সময় ০৮:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

এইচএম শাহারীয়ার, পত্নীতলা, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর পত্নীতলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আট মাস ১৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হলেন সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

সাংবাদিক আজাদ নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় ‘দৈনিক আমাদের সময়’ ও ‘দৈনিক অবজারভার’ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  তিনি নজিপুর পৌর এলাকার আল-হেরা স্কুলপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার আফরোজা আকতার নামের এক কিশোরী করোনাকালে তার পিতা খাবার যোগাড়ে ব্যর্থ হলে সে না খেয়ে থাকার পরে আত্মহত্যা করে।

এ সংবাদ বেলকুচির সব সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সহ বিভিন্ন অনলাইনে ফলাও করে প্রকাশ করে। সেই সংবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে পরে সেই কিশোরী আফরোজার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে খাবার সরবরাহসহ আর্থিক সংকট মোচনে সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

এ সংবাদসহ সরকারি প্রণোদনার একটি চুলচেরা হিসাব দিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত বছরের ১২ এপ্রিল সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদকে নজিপুর পৌর এলাকার আল-হেরা স্কুলপাড়া থেকে আটক করে পুলিশ।

পরে পত্নীতলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মূলত সংবাদ টি হলো সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার।

সেখানকার সাংবাদিকেরা বহাল তবিয়তে থাকলে মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে নওগাঁর বিশিষ্ট সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দিন আজাদ কে।

ঘটনাটি বেশ কষ্টদায়ক ও দুঃখজনক বলে অনেক সাংবাদিকের বিশ্বাস। এ-র দায় কার? শুধু কি সাংবাদিক আজাদের একার না সেখানকার কর্মরত ও রির্পোট প্রকাশকারী অন্য সাংবাদিকের উপরও বর্তায় বটে।