ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে হত্যার পর দরজা আটকে পালিয়েছেন স্বামী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্ট কর্মী স্ত্রীকে হত্যার পর বাইরে থেকে দরজা আটকে পালিয়েছেন স্বামী মোতালেব (৩০)। নিহত রিক্তা মনি (২৩) নেত্রকোণা জেলা কেন্দুয়া উপজেলার কৃষ্ণরামপুর গ্রামের শাহীদ মিয়ার মেয়ে।

তার স্বামী মোতালেব একই এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে। তাদের দুই বছরের একটি মেয়ে আছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ডুবালিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে মোতালেব মিয়াকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, পাঁচ বছর আগে মোতালেবের সঙ্গে রিক্তার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর রিক্তা গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে তারা উপজেলার ডুবালিয়াপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। মোতালেব মিয়া কোনো কাজ কর্ম না করায় প্রায়ই তাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ হত।

শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে মোতালেব তার স্ত্রীকে চৌকির ওপর ফেলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে পালিয়ে যান। প্রতিবেশীরা রিক্তার মরদেহ চৌকির ওপর দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এ ঘটনার পর থেকে মোতালেব মিয়া পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস

স্ত্রীকে হত্যার পর দরজা আটকে পালিয়েছেন স্বামী

আপডেট সময় ০৪:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্ট কর্মী স্ত্রীকে হত্যার পর বাইরে থেকে দরজা আটকে পালিয়েছেন স্বামী মোতালেব (৩০)। নিহত রিক্তা মনি (২৩) নেত্রকোণা জেলা কেন্দুয়া উপজেলার কৃষ্ণরামপুর গ্রামের শাহীদ মিয়ার মেয়ে।

তার স্বামী মোতালেব একই এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে। তাদের দুই বছরের একটি মেয়ে আছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ডুবালিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে মোতালেব মিয়াকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, পাঁচ বছর আগে মোতালেবের সঙ্গে রিক্তার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর রিক্তা গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে তারা উপজেলার ডুবালিয়াপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। মোতালেব মিয়া কোনো কাজ কর্ম না করায় প্রায়ই তাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ হত।

শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে মোতালেব তার স্ত্রীকে চৌকির ওপর ফেলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে পালিয়ে যান। প্রতিবেশীরা রিক্তার মরদেহ চৌকির ওপর দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এ ঘটনার পর থেকে মোতালেব মিয়া পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।