ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নূরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ৯ দফা দাবিতে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবস্থান Logo ’’বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর’ নাম পরিবর্তন’’ নতুন নাম যমুনা রেলসেতু Logo নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন Logo অ্যাটলির সিনেমায় সালমান খান Logo রূপালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাত, জিম্মি কর্মকর্তারা Logo ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক Logo যথাসময়ে ইজতেমা, সহিংসতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক নিহত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম দুলাল মিয়া (৩৮)। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।

নিহত দুলাল মিয়া তারাকান্দার বিসকা ইউনিয়নের মেছেড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। এর আগে বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এলাকার আমবাগান এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, চালক দুলালকে খুন করে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল মিয়া জানান, বুধবার রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এলাকার আমবাগান এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে নিহতের চাচা আব্দুল বারেক বলেন, ‘দুলালই তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। অন্যের ব্যাটারিচালিত অটো ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাতেন।

গতকাল দুপুরে শম্ভুগঞ্জ থেকে অটো নিয়ে বের হন দুলাল। পরে রাত ৪টার দিকে পুলিশ বাড়িতে গিয়ে আমাদের থানায় নিয়ে আসে এবং তার গুরুতর আহতের বিষয়টি জানায়।’

তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘অটোর সঙ্গে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে মেরে ফেলল ছিনতাকারীরা।’

নিহতের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, ‘গতকার দুপুরে বাড়ি থেকে তিনি বলে বের হয়েছেন। বলেন, আমি আজ তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসব। তিনি তো আর ফিরে আসবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা মেয়ে এখন। কে দেখবে আমাদের? অটো নিছিল ভালো কথা, আমার স্বামীকে জীবিত রাখলে আমি ভিক্ষা করে খাওয়াইতাম। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নূরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক নিহত

আপডেট সময় ০৪:২০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম দুলাল মিয়া (৩৮)। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।

নিহত দুলাল মিয়া তারাকান্দার বিসকা ইউনিয়নের মেছেড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। এর আগে বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এলাকার আমবাগান এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, চালক দুলালকে খুন করে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল মিয়া জানান, বুধবার রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এলাকার আমবাগান এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে নিহতের চাচা আব্দুল বারেক বলেন, ‘দুলালই তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। অন্যের ব্যাটারিচালিত অটো ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাতেন।

গতকাল দুপুরে শম্ভুগঞ্জ থেকে অটো নিয়ে বের হন দুলাল। পরে রাত ৪টার দিকে পুলিশ বাড়িতে গিয়ে আমাদের থানায় নিয়ে আসে এবং তার গুরুতর আহতের বিষয়টি জানায়।’

তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘অটোর সঙ্গে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে মেরে ফেলল ছিনতাকারীরা।’

নিহতের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, ‘গতকার দুপুরে বাড়ি থেকে তিনি বলে বের হয়েছেন। বলেন, আমি আজ তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসব। তিনি তো আর ফিরে আসবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা মেয়ে এখন। কে দেখবে আমাদের? অটো নিছিল ভালো কথা, আমার স্বামীকে জীবিত রাখলে আমি ভিক্ষা করে খাওয়াইতাম। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’