ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

প্রতিকি ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সানজিদা আক্তার অথৈ (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লার মাহামুদপুর সাদু মাদবর রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সানজিদা আক্তার অথৈ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার মহেশপুর এলাকার আক্তার হোসেন সোহেলের মেয়ে।

নিহতের মা পাপড়ী আক্তার জানান, ১০-১২ বছর আগে পারিবারিক সমস্যার কারণে স্বামী আক্তার হোসেন সোহেলের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

২০১৪ সালে একমাত্র মেয়ে সানজিদা আক্তার অথৈকে নিয়ে মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু অথৈ তার মায়ের নতুন সংসারে না থেকে ফরিদপুরে নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে।

সে ফরিদপুর একটি হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় গত প্রায় ৫ মাস আগে মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। পাপড়ীর ২য় সংসারের দুই সন্তানের সঙ্গে হাসিখুশি সময় পাড় করছিল অথৈ।

তিনি বলেন, পরিবারের সবাই কক্সবাজার যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শুক্রবার সকালে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটার জন্য ঢাকায় যাই। বাসায় অথৈ ও আরও দুই সন্তানকে রেখে যাই। দুপুরে বাসার মালিক ফোন করে অথৈয়ের আত্মহত্যার খবর দেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, মা-বাবার অনুপস্থিতিতে দুই ভাই-বোনকে টিভি দেখতে দিয়ে অথৈ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তার মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- অথৈ আত্মহত্যা করেছে। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

ট্যাগস

নারায়ণগঞ্জে কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১২:২১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সানজিদা আক্তার অথৈ (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লার মাহামুদপুর সাদু মাদবর রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সানজিদা আক্তার অথৈ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার মহেশপুর এলাকার আক্তার হোসেন সোহেলের মেয়ে।

নিহতের মা পাপড়ী আক্তার জানান, ১০-১২ বছর আগে পারিবারিক সমস্যার কারণে স্বামী আক্তার হোসেন সোহেলের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

২০১৪ সালে একমাত্র মেয়ে সানজিদা আক্তার অথৈকে নিয়ে মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু অথৈ তার মায়ের নতুন সংসারে না থেকে ফরিদপুরে নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে।

সে ফরিদপুর একটি হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় গত প্রায় ৫ মাস আগে মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। পাপড়ীর ২য় সংসারের দুই সন্তানের সঙ্গে হাসিখুশি সময় পাড় করছিল অথৈ।

তিনি বলেন, পরিবারের সবাই কক্সবাজার যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শুক্রবার সকালে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটার জন্য ঢাকায় যাই। বাসায় অথৈ ও আরও দুই সন্তানকে রেখে যাই। দুপুরে বাসার মালিক ফোন করে অথৈয়ের আত্মহত্যার খবর দেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, মা-বাবার অনুপস্থিতিতে দুই ভাই-বোনকে টিভি দেখতে দিয়ে অথৈ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তার মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- অথৈ আত্মহত্যা করেছে। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।