ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধুকে হত্যার দায়ে তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিএম তারিকুল কবীর এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নওগাঁর মান্দা থানার বারিল্যা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে সুইট আলম (২৯), দিনাজপুরের চিবিরবন্দর থানার দক্ষিণ পলাশবাড়ি গ্রামের মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে মেকদাদ বিন মাহাতাব ওরফে পলাশ (২৯) ও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার ভানোর সরকারপাড়া গ্রামের বজির উদ্দীনের ছেলে হাসান জামিল (৩২)।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান জামিল ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার আন্ধারমুহা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম স্থানীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে লেখাপড়ার পাশাাপশি ওয়ার্ল্ডভিশন-২১ নামে একটি মাল্টিলেবেল কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
একই সঙ্গে চাকরির সুবাদে সুইট আলম, মেকদাদ বিন মাহাতাব ওরফে পলাশ ও হাসান জামিলের সঙ্গে রেজাউলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
তারা সবাই মিলে দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে গিয়ে ওই কোম্পানির নতুন অফিস খোলার কাজ করার সময় রেজাউলের বাজাজ মোটরসাইকেলের প্রতি অপর বন্ধুদের চোখ পড়ে।
তারা ওই মোটরসাইকেলটি হাতিয়ে নিতে রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং তাকে হাসান জামিলের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর এলাকায় নিয়ে যান।
২০১৫ সালের ৪ মার্চ সন্ধ্যায় তিনজন মিলে রেজাউল ইসলামকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কৈমারী গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে ঘাড় মটকে ও গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে তার পরনের কাপড় ও বাঁশঝাড়ের শুকনা ডালপাতা দিয়ে মরদেহে আগুন দেয়া হয়।
আসামিদের স্বীকারোক্তি ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু মামলাটি পরিচালনা করেন।